ঐদিন রাত তিনটায় ঢাকার বাসে করে চিটাগাং এসে নামলাম।খুবই ঠান্ডা কুয়াসাচ্ছন্ন একটি রাত।নামার সাথে সাথেই সিনজি পেলাম।সিনজিতে উঠেই যেই হাফ লিটার পানি বাসে উঠে মুতে ধরবে বলে খাইনি,তা শেষ করে দিলাম।বাসায় বোতলটা বয়ে নিয়ে যাবার মানে কি?
তারপরই টের পেলাম,আমি কি ভয়ঙ্কর কাজ করেছি।এই ঠান্ডায় একে তো এমনিতেই হাত পা পেটে সেদিয়ে যাচ্ছে,তার উপর আমি এটা কি করলাম?আমার পানি খাবার পরই বেগ আসে বড়টা।চিন্তার সাথে সাথেই মিলিসেকেন্ড পিং গতিতে বেগ এলো।আমি মজলুমের মতো হাহাকার করে উঠলাম।হে আল্লাহ ,আমাকে ক্ষমা করে দাও।আমাকে মানে-সন্মানে বাসায় যেতে দাও।মাজারে বিশ টাকা মানত।শীতের রাতে লেজে-গোবরে হয়ে আমার অন্তিম-যাত্রা আমি চাই না।
বাসার সামনে নেমেই দেখি কমসে কম আটটা কুত্তা-কুত্তি।ওদের মধ্যে শেষটাইমের বোঝাপড়া চলছে,কুত্তারা বুঝাচ্ছে কাকে কোন বিল্ডিং লিখে দেবে।এই সময় আমার আগমন।পাড়ার কুকুরগুলো নিয়ে আমি চিন্তা করি না,কিন্তু আজ বেপাড়ার কিছু কুকুর জুটেছে।আর কুকুরেরা হুবুহু পুলিশের মতো,একা থাকলে মিনমিন।কিন্ত দলবদ্ধ থাকলেই বেপরোয়া ,গায়ে পড়ে ঝামেলা পাকানোর মাস্টর।
আমাদের পাড়ার কুত্তিটাই প্রথম হাভে-ভাবে লাজুক চোখে বোঝালো, এই তোরা সবাই ঐ কোনায় চলে আয়,তুহিন ভাই দেখতেছে।কিন্তু বেপাড়ার গুলা ঘাউ করে উঠে বললো, কোন তুহিন ভাই, কোথাকার তুহিন ভাই! এই রাত তিনটা বাজে উনার এখানে কি কাম?আর উনি এরকম চোরের মতো পা চিপে চিপে হাটার মানে কি?দেখেই তো মনে হয়, সামথিং হ্যাপেন্ড?
এদিকে আমি সৌম্য ঠান্ডা বিনীত মেজাজ নিয়ে টেলিপ্যাথির মাধ্যমে কুকুরদের বলে যাচ্ছি, আমি যেরকম বেগ চেপে আছি ,তোরাও চেপে থাক।আর যদি ঘেউ করিসও ,একজন কর, এভাবে একসাথে আটজন ঘেঊ করে উঠলে আমার পেন্টের ভেতর লেজে-গোবরে হয়ে যাবে।অলরেডি লেঞ্জা ইজ ডিফিক্যাল্ট টু হাইড হয়ে গেছে।তারপরই আম্মা গেইট খুলে ফেললো।আমি কোন কথা না বলে দৌড়ে ঘরে ঢুকে গেলাম। মানের মান রাব্বুল আলামিনই রাখেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন