দিল্লীর বাদশাহ মুহম্মদ বিন তুঘলক বিখ্যাত ছিলেন তার পাগলামী ও উন্মুক্ততার
জন্য।ছিলেন খামখেয়ালি ও অত্যাচারী শাসক।তার পাগলামীর জন্যই বাংলা ভাষায়
তুঘলকি কারবার কথাটি এসেছে।তিনি একবার হঠাত করে ঠিক করলেন,রাজধানী নিরাপদ
জায়গা দিল্লী থেকে মধ্য প্রদেশের দেবগিরিতে পাহাড়ের মাঝে নিয়ে যাবেন,সবাই
আপত্তি জানালো।এবং হাতে হাতে ফলও পেলো।অতঃপর দেবগিরিতে গিয়ে তার নাম দিলেন
দৌলাতাবাদ।এটি এখন ভারতের ঔরঙ্গাবাদের কাছে।
মাত্র ৬ মাস থেকে তার মন উঠে গেলো।তিনি আবার দিল্লী যাবার প্লান নিলেন আর মত প্রকাশ করলেন- একমাত্র জংলী লোক ছাড়া কোন লোক এখানে থাকতে পারে না।সবাই একবাক্যে রাজি হলো।ঐ রাতেই অর্ধেক নগরী সুর্য উঠার আগে রওয়ানা দিয়ে দেয়।অথচ এটি নির্মান করতে গিয়ে উনি রাজকোষ খালি করে রাষ্ট্রে দূর্ভিক্ষ এনেছেন।তুঘলক বাদশা ভাবলো,যাবোই যখন তখন এতোদিন ধরে যে পার্বত্য ডাকাতটা জীবন অতিস্ট করেছিলো তার একটা হেস্তনেস্ত করেই যাই।অতএব ডাকাতের পিছু নিলেন।ঐ ডাকাত রাজস্থানের মরুভূমির দিকে পালিয়ে গিয়ে ডুব মারলো।সবাই মাস ছয় ঐ ডাকাতের পিছে ঘুরে স্বাস্থ্য তিনভাগের দুইভাগ হারিয়ে সিন্ধু নদের দিকে পেরিয়ে আবার পুবমুখী হয়ে দিল্লীর পথ ধরলো।
এদিকে সিন্ধুনদে পাওয়া গেলো এক তেল চকচকা ভিগু মাছ(আমাদের ইলিশের জাত ভাই)।এটি দেখেই তুঘলকের মাথা খারাপ হয়ে গেলো,সে এটি এখনই খাবে।রাজকীয় কবিরাজ নিষেধ করলো,উনি জানালেন সবাই মরুভূমিতে পায়চারী করার সময় যে স্বাস্থ্য হারিয়েছে,তাতে এখন চোখের ক্ষুধায় এটি খেলে নির্ঘাত প্রান হারাবে।অতপর তারা খেলো এবং প্রানটা খোয়ালো।বাদশাও গেলো।
আরেকবার তুঘলক বাদশা সকালে উঠে দূর্গের বারান্দায় এসে শুনলো,পুরো শহর কান্নাকাটি করছে।উনি জিজ্ঞেস করলেন কি ব্যাপার?প্রহরীরা জানালো,হুজুর শহরে গুজব রটেছে,আপনি মারা গেছেন?তিনি হুকুম দিলেন,যারা গুজবে কান দেয়,তাদের নির্বিচারে হত্যা করা হোক।আদেশ পালিত হলো।অগনিত নগরবাসী নিহত হলেন।
তো এহেন বাদশা যখন অবশেষে মারা গেলেন এবং তার খবর এসে দিল্লীতে পৌছলো।তখন শহরের অবস্থা শোচনীয়,আগের রাতে রওয়ানা দেয়া সেইসব লোকেরা এসে তাদের দখলদারীত্ব বুঝে নিচ্ছিলো আর অভিশাপ দিচ্ছিলো তুঘলককে।আর যারা দখলদারিত্ব হারাচ্ছিলো,তারাও অভিশাপ দিচ্ছিলো তুঘলককে।এই দুই গ্রুপের অভিশাপের সাথে যুক্ত হচ্ছিলো,ঐ গুজব শুনে কান্নাকাটি করা নিহত লোকদের আত্নীয়দের অভিশাপ।সাথে বিপুল ক্ষুদ্ধ জনগন।
ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দীন বরনী ঘটনাকে এভাবে বলেছেন,অতঃপর অত্যাচারী তুঘলক বাদশা মরিয়া ক্ষুদ্ধ জনগন হতে রেহাই পেলেন আর ক্ষুদ্ধ জনগন রেহাই পেলেন অত্যাচারী পাগল তুঘলক বাদশা থেকে।
মাত্র ৬ মাস থেকে তার মন উঠে গেলো।তিনি আবার দিল্লী যাবার প্লান নিলেন আর মত প্রকাশ করলেন- একমাত্র জংলী লোক ছাড়া কোন লোক এখানে থাকতে পারে না।সবাই একবাক্যে রাজি হলো।ঐ রাতেই অর্ধেক নগরী সুর্য উঠার আগে রওয়ানা দিয়ে দেয়।অথচ এটি নির্মান করতে গিয়ে উনি রাজকোষ খালি করে রাষ্ট্রে দূর্ভিক্ষ এনেছেন।তুঘলক বাদশা ভাবলো,যাবোই যখন তখন এতোদিন ধরে যে পার্বত্য ডাকাতটা জীবন অতিস্ট করেছিলো তার একটা হেস্তনেস্ত করেই যাই।অতএব ডাকাতের পিছু নিলেন।ঐ ডাকাত রাজস্থানের মরুভূমির দিকে পালিয়ে গিয়ে ডুব মারলো।সবাই মাস ছয় ঐ ডাকাতের পিছে ঘুরে স্বাস্থ্য তিনভাগের দুইভাগ হারিয়ে সিন্ধু নদের দিকে পেরিয়ে আবার পুবমুখী হয়ে দিল্লীর পথ ধরলো।
এদিকে সিন্ধুনদে পাওয়া গেলো এক তেল চকচকা ভিগু মাছ(আমাদের ইলিশের জাত ভাই)।এটি দেখেই তুঘলকের মাথা খারাপ হয়ে গেলো,সে এটি এখনই খাবে।রাজকীয় কবিরাজ নিষেধ করলো,উনি জানালেন সবাই মরুভূমিতে পায়চারী করার সময় যে স্বাস্থ্য হারিয়েছে,তাতে এখন চোখের ক্ষুধায় এটি খেলে নির্ঘাত প্রান হারাবে।অতপর তারা খেলো এবং প্রানটা খোয়ালো।বাদশাও গেলো।
আরেকবার তুঘলক বাদশা সকালে উঠে দূর্গের বারান্দায় এসে শুনলো,পুরো শহর কান্নাকাটি করছে।উনি জিজ্ঞেস করলেন কি ব্যাপার?প্রহরীরা জানালো,হুজুর শহরে গুজব রটেছে,আপনি মারা গেছেন?তিনি হুকুম দিলেন,যারা গুজবে কান দেয়,তাদের নির্বিচারে হত্যা করা হোক।আদেশ পালিত হলো।অগনিত নগরবাসী নিহত হলেন।
তো এহেন বাদশা যখন অবশেষে মারা গেলেন এবং তার খবর এসে দিল্লীতে পৌছলো।তখন শহরের অবস্থা শোচনীয়,আগের রাতে রওয়ানা দেয়া সেইসব লোকেরা এসে তাদের দখলদারীত্ব বুঝে নিচ্ছিলো আর অভিশাপ দিচ্ছিলো তুঘলককে।আর যারা দখলদারিত্ব হারাচ্ছিলো,তারাও অভিশাপ দিচ্ছিলো তুঘলককে।এই দুই গ্রুপের অভিশাপের সাথে যুক্ত হচ্ছিলো,ঐ গুজব শুনে কান্নাকাটি করা নিহত লোকদের আত্নীয়দের অভিশাপ।সাথে বিপুল ক্ষুদ্ধ জনগন।
ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দীন বরনী ঘটনাকে এভাবে বলেছেন,অতঃপর অত্যাচারী তুঘলক বাদশা মরিয়া ক্ষুদ্ধ জনগন হতে রেহাই পেলেন আর ক্ষুদ্ধ জনগন রেহাই পেলেন অত্যাচারী পাগল তুঘলক বাদশা থেকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন