এটি এমন ঘটনা নয় যে,জীবিত ফসিল প্রতিদিন জেলেদের জালে ধরা পরে।কিন্তু এমনটিই ঘটেছিল ১৯৩৮সালে,যখন সাউথ আফ্রিকান যাদুঘরের কিউরেটর কোরটনি ল্যাটিমার প্রানিটির নমুনা পেলেন।তিনি এটিকে লিপিবদ্ব করলেন এভাবে,ভারি অদ্ভুত ধরনের মোটা আঁশ,অস্বাভাবিক পাখা ফুসফুস দেহের উপরিভাগে,আর মোটামুটি আনাটমিক্যালি ভিতরে ভিতরে সরবপরি এক আকরষন করা মাছ।সরলভাবে বলতে গেলে তিনি কিছুই বুঝতে পারলেন না তিনি শিলাকান্ত নামে ডাইনোসর যুগের একমাত্র জীবিত জীবকে আবিস্কার করলেন।যা জীবিত ফসিল নামে পরিচিত।যে তার স্তরের ও যুগের প্রানিদের থেকে এখন পযন্ত বেশিদিন বেঁচে প্রানি,সমুদ্রএর গভীরে নিরুপদ্রবভাবে ও অসনাত্ত হয়ে অনন্তকাল ধরে বিচরন করে বেড়াচ্ছে।প্রথম খোজ পাওয়ার পর থেকে ভারত মহাসাগরের বিভিন্ন জায়গা থেকে শিলাকান্ত বা ল্যাটিমারিয়া চালুমনেই সীমিত আকারে পাওয়া যায়।কেউ জানেনা ঠিক কতগুলো শিলাকান্ত ভারত মহাসাগরে আছে,কারন এরা প্রায় বিরল।সমুদ্রের অতি গভীরে এরা বিচরন করে বিধায়,কেবলমাত্র উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সাব মারসিবল ক্যামেরা দ্বারা এদের ফটো পাওয়া যায়।২০০০ সালে এদের ছবি পাওয়া যায়,আর মাঝখানে অনেকদিন পর ২০১০ সালে আবার ছবি পাওয়া যায়।
আরেকবার এটির কিছু গুরুত্বপুর্ন বৈশিস্ট গুলো বলি-সিলাকান্থ লাংফিশ ( ফুসফুস সহ মাছ) এবং চতুস্পদী প্রানীর সাথে সম্পর্কযুক্ত একটি অতি প্রাচীন মাছ। এর পাখনা গুলো চতুস্পদী প্রানীদের পূর্ববর্তী পর্যায়ের মতো। বর্তমানে মাত্র দুই প্রজাতির সিলাকান্থ পাওয়া গেছে। এদের সাধারনত দেখা পাওয়া যায়না।সিলাকান্থের আরও কয়েকটি ইউনিক বৈশিষ্ঠ্য আছে। যেমন:
১) একমাত্র মাছ যার লেজের শেষপ্রান্তে আরেকটা ছোট বাড়তি লেজের অংশ বা লোব আছে।
২) ডিম পাড়ে না। পূর্ন বয়স্ক বাচ্চা প্রসব করে।
৩) সাঁতার কাটার সময় চতুস্পদী প্রাণীদের মত ডান ডরসাল ফিন আর বাম রেকটোরাল ফিন একসাথে মুভ করে। আবার বাম ডরসাল ফিন আর ডান রেকটোরাল ফিন একসাথে মুভ করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন