মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

মোহাম্মদ আলী ক্লে।

সর্বকালের সেরা মুস্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী শুধু সেরা লড়িয়েই ছিলেন না,তিনি উপস্থিত জবাবের জন্য বেশ দক্ষ ছিলেন।সাংবাদিকদের জায়গায় হাসিয়ে ফেলতেন।১৯৬৭ সালে আমেরিকা তখন পুরোদমে ভিয়েতনামে লড়ে যাচ্ছেন।মরছেও সমানে সমান।প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন দেশজোড়া ব্যাপক সৈন্যযোজন চালাচ্ছেন।এই প্রচারনার ধাক্কা তিনি খেলাধুলায় এনে ফেললেন।

সেরা মুস্টিযোদ্ধা হিসাবে তিনি মোহাম্মদ আলীকে চাইলেন দেশের যুবকদের কাছে যুদ্ধে নামার আহবান জানাতে।প্রস্তাব শোনামাত্র মোহাম্মদ আলীর ঘৃনা ভরে প্রত্যাখান।তিনি তারা ঐতিহাসিক ডায়লগটি দিলেন- কেনো আমি ভিয়েতনামীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবো।তোমরা আমাকে নিগার বলো,কই তারা তো কোনদিন আমায় নিগার বলেনি।

এর ফলে আলীকে ৬ বছর ইচ্ছাকৃতভাবে রিং এর বাইরে একঘরে করে রাখা হয়।১৯৭৩ সালে তিনি আবার রিং এ ফিরেন।সেরা ক্রীড়াবিদেরা সবসময় হোয়াইট হাউসে ডিনারের দাওয়াত পায়,এটা মার্কিন মুল্লুকের রীতি।কিন্তু মোহাম্মদ আলী কোনদিন এই দাওয়াত পায়নি।

১৯৭৫ সালে জায়ারের প্রেসিডেন্ট মবতু সেসে সিকো তাকে কিনশাসা প্রেসিডেন্ট প্যালেসে দাওয়াত দেন,কারন কিনশাসায় উনি হেভিওয়েট লড়াইয়ের জন্য গিয়েছিলেন।যারা জায়ারের প্রেসিডেন্ট প্যালেস দেখেছেন,তারা জানেন এটা হোয়াইট হাউস থেকে শতগুনে সেরা,পুরোটাই শ্বেত পাথরে গড়া।মবতু তাকে ডিনারে আমন্ত্রন জানানোর জন্য যখন এগিয়ে এলেন,মোহাম্মদ আলী বললেন,আমি আপনার কাছে অত্যান্ত কৃতজ্ঞ।আমার নিজ দেশের হোয়াইট হাউসে আমি কখনো নিমন্ত্রিত হয়নি,কিন্তু আপনার ব্ল্যাক হাউসে আপনি আমায় নিমন্ত্রন করলেন।সবাই হেসে উঠেছিলো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্রাট আকবর ও মুসলমানী প্রসঙ্গ।

ইতিহাসের এইদিনে এই ভ্যালেন্টাইন ডে তে ১৪ ফেব্রুয়ারী,১৫৫৬ খ্রীঃ সম্রাট আকবর ১৪ বছর বয়সে দিল্লীর সিংহাসনে আসীন হন। ভ্যালেন্টাইন ডে তে সম্র...