আমার কয়েকজন ফেসবুক বন্ধু দেখি ইদানিং স্টাটাস দেয়(প্রায়সই বিরক্তি সহকারে), "পাবলিক আছে আজ নোবেল নিয়ে তো কাল খান আতা নিয়ে"।তারপরই তাদের বিভিন্নরকম জ্ঞানগর্ভীয় ভাষন এর বিরুদ্ধে।
তারা পাবলিক বলতে এই তিনি নিজে বাদে আরসব ফেসবুক ইউজারদের বুঝিয়েছেন।উনি নিজে খুব জ্ঞানী ফেসবুকার আর বাকিরা খুব বিরক্তিকর।উনারা জানে না,পাবলিক যার যার বাপের টাকা খরচ করে ফেসবুকে আসে, উনাদের বাপের টাকায় না।উনাদের এই আলগা আতলামি আর নাফথালি নিয়ে উনাদের বুঝা উচিত, তাদের কে বলেছে ফেসবুকে থাকতে।
ফেসবুক আর টুইটারসহ অন্যান্য জনপ্রিয় সোশাল সাইট গুলো সবই আসলে এই সোশাল ট্রেন্ডিং নিয়ে আছে,এটাই চলতি নিয়ম।আজ বাজার কি নিয়ে গরম ,সেটার প্রতিক্রিয়াই স্বাভাবিকভাবে ফেসবুকে বা টুইটারে পড়বে।টুইটারে তো প্রতিদিন শীর্ষ ২০টি ট্রেন্ডিং বা বাজার গরম খবর থাকবেই।সেই ধারায় ফেসবুকও সরগরম থাকে।আবারো সেসব জ্ঞানী আতেলদের বলছি, আপনাদের ভাষায় পাবলিকেরা একেবারে স্বাভাবিক সব চলতি ঘটনা নিয়ে ফেসবুক বা টুইটারে থাকে।পাবলিক স্বাভাবিক,অস্বাভাবিক আপনি নিজে আতেলটা।
৮০-৯০ এর দশকে যেমন বাজার আর মাঠ-ঘাট এ পাবলিক ব্যস্ত ছিলো একিই রকম বাজার গরম খবর নিয়ে,যেমনঃ শারমীন রীমা হত্যাকান্ড,মুনীর খুকু এফেয়ার ইত্যাদি।সেটাই এখন সোশাল সাইটের মাধ্যমে তার ধরন পালটেছে।এখন সামিয়াদের পিএইচডির রচনাচুরিও সোশাল সাইটের ট্রেন্ডিং হয়।ভেবে দেখেন,সেই রীমা হত্যাকান্ড, খুন,ধর্ষন, এর ওর বৌ নিয়ে ভেগে যাওয়া থেকে ট্রেন্ডিং একেবারে সর্ব্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস চুরি নিয়ে বাজার গরম রেখেছে।এটা কিন্তু রীতিমতো একটা ডিজিটাল বিপলব। ১৯৯০ সালে কেউ ভাবতেও পারে নাই সংবাদ মাধ্যম এভাবে সোশাল সাইটের নিউজফিডে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়বে। আজকে এটা অত্যান্ত জনপ্রিয় একটা মাধ্যম।কারন এখানে পাবলিক সরাসরি তাদের মন্তব্য জানাতে পারে।সরকার সবরকম মিডিয়াকে তাদের তাবেদারে পরিনত করলেও ফেসবুক টুইটারের ব্যবহারকারীদের মুখ বন্ধ রাখতে পারেনি।
কথা আর না বলি।উপরের এই আতেলগুলা এগুলো বলে মুলত মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতাকেই অবমাননা করে। অন্যের ব্যক্তিগত মতামতকে ভালো না লাগা কোন দোষের কিছুই নয়।কিন্তু তা নিয়ে ঠাট্টা তামাশা জ্ঞানগর্ভ ভাষন দেয়া অন্তত ভদ্রলোকের কাজ নয়।পারিবারিকভাবে এরা একটা নিচু মানসিকতার পরিবার থেকে আগত।এখন ফেসবুকে এসে হেডম জাহাজের কচ্ছপ হয়ে গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন