শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৩

হাইড্রসিল বা একশিরা ব্যামো।

মানিকের প্রাগৈতিহাসিক গল্পে পাঁচী বলে এক ভিখারিনী আছে ,যে তার পায়ের বিশ্রী একজিমাটা ভালো হতে দিতো না।কারন তাহলে যে তার ভিক্ষাবৃত্তির মারাত্বক অসুবিধা ঘটে যাবে।তাই সে এর সদব্যবহার করেই যেতো।

আবার বাজারে প্রায়শই দেখা যেতো,হাইড্রসিল বা একশিরা আক্রান্ত এক ভিক্ষুককে,যে কিনা ঐ পাঁচীর মতোই।অপারেশন করতো না,সহানুভূতিশীল মানুষকে হালকা করে আলগোছে লুঙ্গি ওপর করে দেখিয়ে দিতো বিকট অন্ডকোষটিকে।পাবলিক আঁতকে উঠে যা দেয়ার দিয়ে দিতো। এভাবেই সে আর চিকিৎসা করায় না।কি দরকার চলুক না,যতদিন পাবলিক এর সহানুভুতি পাওয়া যায়।ততদিনই লাভ।

তারপর এলাকাবাসী একদিন ক্ষেপে গিয়ে বেদম পিটিয়ে হাইড্রসিলের অপারেশন করিয়ে দেয়।পাবলিকের কথা হলো-আরে ভাই বইলেন না,অসভ্যটা সেই পাকিস্তান আমল থেকে এই লুঙ্গি উঠিয়ে দেখিয়ে দেখিয়ে ভিক্ষা করছে।তারপরও চিকিৎসা করায় না।এতোদিনের তার ভিক্ষার টাকায় একটা ৪ তলা বিল্ডিং দাঁড়িয়ে যেতো।আর এই শালায় এই ফুটবলটার কোন অপারেশন করায় না।

ধুত্তরি! আমি এইসব কি আজাইরা প্যাচাল পাড়তেছি।কাজের কথাটা বলি,আমরাও মনে প্রানে চাই আওয়ামি লীগ এই রাজাকার হাইড্রসিলের একটা অপারেশন করুক।ভোট আসলেই এইসব লুঙ্গি-ফুঙ্গি উঠিয়ে দেখানো আর কতদিন?আফটার অল ,পাবলিকের ওতো এইসব দেখতে ভালো লাগে না। আর পাবলিককেই আর কি দোষ দিমু,এই গরীবের দেশে ফকিরের একশিরা আন্ডা দেখাও একপ্রকার বিনোদন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্রাট আকবর ও মুসলমানী প্রসঙ্গ।

ইতিহাসের এইদিনে এই ভ্যালেন্টাইন ডে তে ১৪ ফেব্রুয়ারী,১৫৫৬ খ্রীঃ সম্রাট আকবর ১৪ বছর বয়সে দিল্লীর সিংহাসনে আসীন হন। ভ্যালেন্টাইন ডে তে সম্র...