সেদিন বাসে করে গ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম।সিটটা সামনের দিকে জানালার পাশে
হওয়াতে বেশ স্বাচ্ছন্দবোধ করছিলাম।মাঘের শীতের এ সময়ে সকালের দিকে বাতাসটা
দারুন উপভোগ্য,যেনো এসির সামনে বসেছি।গলায় একটা কাপড় পেঁচিয়ে বেশ যুত করে
বসলাম।
বাসে গান বাজতেছে হৈমন্তী শুক্লার চোখেতে অনেক রঙ ভালো লাগে- - -তবুও ভালোবাসা ভালো লাগা এক নয়।এটা বেশ অদ্ভুত যে,নিয়মিত শোনা হয় না এমন অনেক গান বাসে শুনতে ভালোই লাগে।
এর মাঝেই হঠাত করে নজরে এলো,ড্রাইভারের পাশে গিয়ারের দন্ডের পিছনে একটা পানীয়ের কেইসের উপর ফোম বসিয়ে তাতে ৪-৫ বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে বসে আছে।সে অনর্গল বকে যাচ্ছে চালকের সাথে।কৌতুহলী হয়ে উঠলাম,চালককে জিজ্ঞাস করলাম-তোমার মেয়ে?সে বললো-হুম।কোথায় নিয়ে যাচ্ছো,ঢাকায়?বললো-না,আমার সাথেই যাচ্ছে।
বাচ্চার মা কোথায়?সে কিছু বলে না,নিশ্চুপ।আবার বললাম-এতোটুকু মেয়ে নিয়ে তুমি তো ফিরতি ট্রিপে আবার আসবে।ব্যাপার কি ভাই?কোনো সমস্যা?সে বললো-ভাই ,এর মার সাথে আমার ছাড়াছাড়ির কথা চলছে।এর মামারা চায়,তাকে অন্য কোথাও বিয়ে দিতে।কিন্তু আমি আমার মেয়েকে ছাড়া কিভাবে থাকবো?সে আমার দূচোখের মনি।
ভালো করে এবার তাকে লক্ষ্য করলাম।চেহারায় একটু ইন্দ্রিয়পরায়নতার ভাব আছে,আর দৃস্টি কিছুটা উগ্র।বললাম,তোমার তো ইনকাম খারাপ থাকার কথা না,তুমি কি অন্য কোন খারাপ অভ্যাস বা নারীঘটিত ব্যাপারে ঝামেলায় পড়েছ।সে বললো-সে যদিও একসময় জড়িত ছিলো,কিন্তু এখন সে এসব থেকে দুরে।সে বাচ্চার মাকে চায়,কিন্তু তারা আর আগ্রহী নয়।
আমি বললাম-তুমি নিশ্চয় ব্যাপারটাকে চূড়ান্ত অবস্থায় নিয়ে গিয়েছ?আসলে সবকিছু বরবাদ করার পরই মানুষের ভালো হবার ইচ্ছা জাগে।জীবন তো আর নাটক সিনেমা না যে,শেষ দিকে মিল হয়ে যাবে?
সে আমাকে জিজ্ঞেস করলো-ভাই,বলেন তো আমি এখন কি করবো?মেয়েটাকে তারা আমার থেকে নিয়ে নিতে চায়।আর মেয়েটা আমাকে ছাড়া কোথাও যেতে চায় না।আমিও তাকে ছাড়া বাঁচা চিন্তাও করি না।
আর আমি কি জবাব দেবো।আমি দেখলাম একটা ইন্দ্রীয় পরায়ন,লোভী হালকা চরিত্রের লোককে,যার চোখের দৃস্টিতে সব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নীচ কাজগুলো ছাপিয়ে তার সন্তানের প্রতি অকৃত্রিম আর নির্লোভ ভালোবাসা ফুটে উঠেছে।
বাসে গান বাজতেছে হৈমন্তী শুক্লার চোখেতে অনেক রঙ ভালো লাগে- - -তবুও ভালোবাসা ভালো লাগা এক নয়।এটা বেশ অদ্ভুত যে,নিয়মিত শোনা হয় না এমন অনেক গান বাসে শুনতে ভালোই লাগে।
এর মাঝেই হঠাত করে নজরে এলো,ড্রাইভারের পাশে গিয়ারের দন্ডের পিছনে একটা পানীয়ের কেইসের উপর ফোম বসিয়ে তাতে ৪-৫ বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে বসে আছে।সে অনর্গল বকে যাচ্ছে চালকের সাথে।কৌতুহলী হয়ে উঠলাম,চালককে জিজ্ঞাস করলাম-তোমার মেয়ে?সে বললো-হুম।কোথায় নিয়ে যাচ্ছো,ঢাকায়?বললো-না,আমার সাথেই যাচ্ছে।
বাচ্চার মা কোথায়?সে কিছু বলে না,নিশ্চুপ।আবার বললাম-এতোটুকু মেয়ে নিয়ে তুমি তো ফিরতি ট্রিপে আবার আসবে।ব্যাপার কি ভাই?কোনো সমস্যা?সে বললো-ভাই ,এর মার সাথে আমার ছাড়াছাড়ির কথা চলছে।এর মামারা চায়,তাকে অন্য কোথাও বিয়ে দিতে।কিন্তু আমি আমার মেয়েকে ছাড়া কিভাবে থাকবো?সে আমার দূচোখের মনি।
ভালো করে এবার তাকে লক্ষ্য করলাম।চেহারায় একটু ইন্দ্রিয়পরায়নতার ভাব আছে,আর দৃস্টি কিছুটা উগ্র।বললাম,তোমার তো ইনকাম খারাপ থাকার কথা না,তুমি কি অন্য কোন খারাপ অভ্যাস বা নারীঘটিত ব্যাপারে ঝামেলায় পড়েছ।সে বললো-সে যদিও একসময় জড়িত ছিলো,কিন্তু এখন সে এসব থেকে দুরে।সে বাচ্চার মাকে চায়,কিন্তু তারা আর আগ্রহী নয়।
আমি বললাম-তুমি নিশ্চয় ব্যাপারটাকে চূড়ান্ত অবস্থায় নিয়ে গিয়েছ?আসলে সবকিছু বরবাদ করার পরই মানুষের ভালো হবার ইচ্ছা জাগে।জীবন তো আর নাটক সিনেমা না যে,শেষ দিকে মিল হয়ে যাবে?
সে আমাকে জিজ্ঞেস করলো-ভাই,বলেন তো আমি এখন কি করবো?মেয়েটাকে তারা আমার থেকে নিয়ে নিতে চায়।আর মেয়েটা আমাকে ছাড়া কোথাও যেতে চায় না।আমিও তাকে ছাড়া বাঁচা চিন্তাও করি না।
আর আমি কি জবাব দেবো।আমি দেখলাম একটা ইন্দ্রীয় পরায়ন,লোভী হালকা চরিত্রের লোককে,যার চোখের দৃস্টিতে সব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নীচ কাজগুলো ছাপিয়ে তার সন্তানের প্রতি অকৃত্রিম আর নির্লোভ ভালোবাসা ফুটে উঠেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন