অবশেষে বিয়েটা হয়েই গেল।বস্তুত পৃথিবীতে কতরকম ঘটনাই না ঘটে একিই
সময়ে।প্রায়ই যেটা দেখা যায় হয় যুগলদ্বয় একে অন্যকে ভালবেসে বিয়ে করে,না হলে
অভিভাবকেরা পছন্দ অনুযায়ী ফরম্যালি বিয়ে ঠিক করে।কিন্তু মাঝে মাঝে এর
ব্যত্যয় ও ঘটে।পাত্রপাত্রী কেউ কাউকে ভালো না বেসেও এর শিকার হতে পারেন।
এমন হয় না যে,নায়ক সব সময় ভেবে এসেছে সে রাজকন্যা না হোক স্নিগ্ধ শ্যামলা বরন এক মেয়েকে বিয়ে করবে।এরপর গেলো সে কক্সবাজার কি বান্দরবনের পাহাড়ে, সুনিল সাগরের পাড়ে দাঁড়িয়ে বা সুউচ্চ সবুজ পাহাড়ে দাঁড়িয়ে সে যখন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে মুগ্ধ,তখনি হয়তো সামনে দিয়ে হেটে গেলো কোন সাধারন চেহারার মেয়ে তার এলোকেশী চুলগুলো উড়িয়ে বা তার বড় বড় ডাগর চোখদুটো মেলে ।সাথে সাথে মনে ভয়ঙ্কর প্রেম এসে বাসা বাধলো।প্রকৃতির প্রভাবেই হোক বা নিজের দৃস্টিবিভ্রমেই হোক সম্পর্ক গড়িয়ে প্রেম হয়ে বিয়েতে গড়ালো।
কয়দিন পরেই মোহ কাটার পর ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা,সাগর আর পাহাড়ের নাম শুনলে মা বাপ তুলে গালাগাল।এই দেখো আমি আসল কথা না বলে কিসব বলাবলি করছি।ইদানিং আমার যে কি হয়েছে অতিরিক্ত কথা বলি।
মাঝে মাঝে মানুষ বাধ্য হয়ে বিয়ের পিড়িতে বসে।এ গল্পের নায়ক নায়িকার তাই হয়েছিলো।নায়িকার ক্ষেত্রে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটে,সম্প্রতি তার বড় বোন দুটি বাচ্চা রেখে অকালে মারা যায়।এখন তার ভগ্নিপতী নায়িকার বাবা মাকে প্রচুর মানসিক চাপ দেয় যে,যদি শ্যালিকাকে এসময় বিয়ে দেয়া হয় তার কাছে তা হলে বাচ্চারা আর সৎ মা পে্লোনা,খালাই তাদের নিজ সন্তানের মত মানূষ করতে পারবে।তার পরিবারের লোক এ ব্যাপারে নিয়মিত চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
নায়িকার বয়স হল ১৯,তার ভগ্নিপতির ৪৬।তদুপরি ভদ্রলোকের মাথায় টাঁক,দাড়ীতে মেহেদী।এ অবস্থায় পুরো পরিবার কিংকর্তব্যবিমূঢ়।কন্যার মৃতুয়শোক,বর্তমান পরিস্থিতি সব মিলিয়ে কঠিন অবস্থা।এবার নায়ক।
নায়ক আছে আরেক বিপদে।তার বর্তমান চাকুরীতে সে কঠিন অবস্থায় আছে।বাড়ীতে তার মা একাই থাকেন।সমস্ত আত্নীয়স্বজন তাকে চাপ দিচ্ছে বিয়ের জন্য।কেউ কেউ তার পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।যে আজকাল যেখানে রিক্সাওলাও ৩-৪টা বিয়ে করে সেখানে তার সমস্যা কি,যেখানে তারা আর্থিকভাবে মোটামোটি স্বচ্ছল।
নায়কের আবার একটি গুন হলো তিনি বেশ আড্ডাবাজ।পাড়াই যত মুরুব্বী আছে সবাই তার রাজনৈতিক বন্ধু।সমবয়স্কদের থেকে বরং এদের সাথেই তার সখ্যতা বেশি।ইদানিং তার মন খারাপ কারন কাকা এখন আড্ডায় অনিয়মিত,তার বড় মেয়ে অকালে মারা গেছে।কাকার দুঃখে সেও সমব্যথী।আজ সে ঠিক করল কাকাকে দেখতে যাবে।
বেল বাজার পর দরজা খুললো একটি স্নিগ্ধ চেহারার মেয়ে।
কাকা আছে?
হু।মেয়েটির চোখের নিচে শুকিয়ে যাওয়া কান্নার দাগ,বোনের শোকে সে মুহ্যমান।
স্লামালেকুম কাকা।আসো বাবা,আসো।
নিরবতা।নায়ক কি সান্তনা দিবে ভেবে পায় না।
কাকা আজ আসি,আবার আসবো।ঠিক আছে বাবা,তুমি বাবা কিছু চা-নাস্তা খাও।না কাকা আরেকদিন।
আড্ডাতে আরেক কাকা তাকে বললেন,কাকার বর্তমান সমস্যা নিয়ে।জামাতার চাপে উনি মানসিক চাপে আছেন।
নায়ক নায়িকার চেহারাটা কল্পনা করলো,না মেয়েটি তো বেশ।নায়ক নিজেও আছে বেজায় পারিবারিক চাপে।এক কাজ করলে কেমন হয়,কাকা কি তার কাছে মেয়েটিকে বিয়ে দিবে।এটাতো সতিয়্য কাকা তাকে বেশ পছন্দ করেন,কিন্তু কাকার মেয়েটি?
যথারীতি প্রস্তাব দেয়া হলো।কাকা ভীষন খুশী হলেন,তাকে তিনি নিজে অনেক দোয়া করলেন।এ ছোট্ট মেয়েটি তার ভীষন পছন্দের।বিয়ে দ্রুত এগিয়ে আসলো।নায়ক যেমন পরিস্থিতির চাপে সুবিধাবাদীর মতো বিয়েতে রাজি হয়েছিলো,তেমনি নায়িকাও সুবিধাবাদীর মত রাজি হয়েছিলো ভগ্নিপতির প্রস্তাব থেকে বাচার জন্য।অতঃপর দুই সুবিধাবাদীর বিয়ে হয়ে গেলো।যারা একে অপরের প্রতি মোটেও প্রেমে পড়েনি।
দুই সুবিধাবাদীর মধ্যে বিয়ে হলে যা যা হয় তা একসময় ফুটে বেরোতে লাগলো।এরা একে অপরের খুব দোষ ধরতো।কিন্তু পৃথিবীটা বড়ই বিচিত্র।দেখা গেলো এরা যত মান অভিমানই করুক ,দুজন দুজনকে ছাড়া এরা বেশিদিন থাকতে পারতো না,আবার অনুভবের এই ব্যাপারটা কেউই কারো কাছে ফাঁস করতো না।একপক্ষ সন্দেহ করতো বিপরীত পক্ষ এটা বুঝতে পারলে অতিরিক্ত দাম দেখাবে।সুতরাং কোন দূর্বলতা নয়।
এভাবেই তাদের জীবন চলতে লাগলো।আর জীবন ও সম্ভবত সবকিছুর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে বাধ্য।আর মুরুব্বীরাও বলে দীর্ঘদিন একত্রে থাকলে নাকি স্বামী-স্ত্রীর চেহারাতেও একটা মিল মিল ভাব দেখা যায়।
পুনশচঃ নায়ক নায়িকাকে একটি বৈশাখি শাড়ি উপহার দিয়েছে,তারা নাকি আবার পহেলা বৈশাখে ঘুরতেও বের হবে।পৃথিবীটা কতই না বিচিত্র!
এমন হয় না যে,নায়ক সব সময় ভেবে এসেছে সে রাজকন্যা না হোক স্নিগ্ধ শ্যামলা বরন এক মেয়েকে বিয়ে করবে।এরপর গেলো সে কক্সবাজার কি বান্দরবনের পাহাড়ে, সুনিল সাগরের পাড়ে দাঁড়িয়ে বা সুউচ্চ সবুজ পাহাড়ে দাঁড়িয়ে সে যখন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে মুগ্ধ,তখনি হয়তো সামনে দিয়ে হেটে গেলো কোন সাধারন চেহারার মেয়ে তার এলোকেশী চুলগুলো উড়িয়ে বা তার বড় বড় ডাগর চোখদুটো মেলে ।সাথে সাথে মনে ভয়ঙ্কর প্রেম এসে বাসা বাধলো।প্রকৃতির প্রভাবেই হোক বা নিজের দৃস্টিবিভ্রমেই হোক সম্পর্ক গড়িয়ে প্রেম হয়ে বিয়েতে গড়ালো।
কয়দিন পরেই মোহ কাটার পর ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা,সাগর আর পাহাড়ের নাম শুনলে মা বাপ তুলে গালাগাল।এই দেখো আমি আসল কথা না বলে কিসব বলাবলি করছি।ইদানিং আমার যে কি হয়েছে অতিরিক্ত কথা বলি।
মাঝে মাঝে মানুষ বাধ্য হয়ে বিয়ের পিড়িতে বসে।এ গল্পের নায়ক নায়িকার তাই হয়েছিলো।নায়িকার ক্ষেত্রে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটে,সম্প্রতি তার বড় বোন দুটি বাচ্চা রেখে অকালে মারা যায়।এখন তার ভগ্নিপতী নায়িকার বাবা মাকে প্রচুর মানসিক চাপ দেয় যে,যদি শ্যালিকাকে এসময় বিয়ে দেয়া হয় তার কাছে তা হলে বাচ্চারা আর সৎ মা পে্লোনা,খালাই তাদের নিজ সন্তানের মত মানূষ করতে পারবে।তার পরিবারের লোক এ ব্যাপারে নিয়মিত চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
নায়িকার বয়স হল ১৯,তার ভগ্নিপতির ৪৬।তদুপরি ভদ্রলোকের মাথায় টাঁক,দাড়ীতে মেহেদী।এ অবস্থায় পুরো পরিবার কিংকর্তব্যবিমূঢ়।কন্যার মৃতুয়শোক,বর্তমান পরিস্থিতি সব মিলিয়ে কঠিন অবস্থা।এবার নায়ক।
নায়ক আছে আরেক বিপদে।তার বর্তমান চাকুরীতে সে কঠিন অবস্থায় আছে।বাড়ীতে তার মা একাই থাকেন।সমস্ত আত্নীয়স্বজন তাকে চাপ দিচ্ছে বিয়ের জন্য।কেউ কেউ তার পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।যে আজকাল যেখানে রিক্সাওলাও ৩-৪টা বিয়ে করে সেখানে তার সমস্যা কি,যেখানে তারা আর্থিকভাবে মোটামোটি স্বচ্ছল।
নায়কের আবার একটি গুন হলো তিনি বেশ আড্ডাবাজ।পাড়াই যত মুরুব্বী আছে সবাই তার রাজনৈতিক বন্ধু।সমবয়স্কদের থেকে বরং এদের সাথেই তার সখ্যতা বেশি।ইদানিং তার মন খারাপ কারন কাকা এখন আড্ডায় অনিয়মিত,তার বড় মেয়ে অকালে মারা গেছে।কাকার দুঃখে সেও সমব্যথী।আজ সে ঠিক করল কাকাকে দেখতে যাবে।
বেল বাজার পর দরজা খুললো একটি স্নিগ্ধ চেহারার মেয়ে।
কাকা আছে?
হু।মেয়েটির চোখের নিচে শুকিয়ে যাওয়া কান্নার দাগ,বোনের শোকে সে মুহ্যমান।
স্লামালেকুম কাকা।আসো বাবা,আসো।
নিরবতা।নায়ক কি সান্তনা দিবে ভেবে পায় না।
কাকা আজ আসি,আবার আসবো।ঠিক আছে বাবা,তুমি বাবা কিছু চা-নাস্তা খাও।না কাকা আরেকদিন।
আড্ডাতে আরেক কাকা তাকে বললেন,কাকার বর্তমান সমস্যা নিয়ে।জামাতার চাপে উনি মানসিক চাপে আছেন।
নায়ক নায়িকার চেহারাটা কল্পনা করলো,না মেয়েটি তো বেশ।নায়ক নিজেও আছে বেজায় পারিবারিক চাপে।এক কাজ করলে কেমন হয়,কাকা কি তার কাছে মেয়েটিকে বিয়ে দিবে।এটাতো সতিয়্য কাকা তাকে বেশ পছন্দ করেন,কিন্তু কাকার মেয়েটি?
যথারীতি প্রস্তাব দেয়া হলো।কাকা ভীষন খুশী হলেন,তাকে তিনি নিজে অনেক দোয়া করলেন।এ ছোট্ট মেয়েটি তার ভীষন পছন্দের।বিয়ে দ্রুত এগিয়ে আসলো।নায়ক যেমন পরিস্থিতির চাপে সুবিধাবাদীর মতো বিয়েতে রাজি হয়েছিলো,তেমনি নায়িকাও সুবিধাবাদীর মত রাজি হয়েছিলো ভগ্নিপতির প্রস্তাব থেকে বাচার জন্য।অতঃপর দুই সুবিধাবাদীর বিয়ে হয়ে গেলো।যারা একে অপরের প্রতি মোটেও প্রেমে পড়েনি।
দুই সুবিধাবাদীর মধ্যে বিয়ে হলে যা যা হয় তা একসময় ফুটে বেরোতে লাগলো।এরা একে অপরের খুব দোষ ধরতো।কিন্তু পৃথিবীটা বড়ই বিচিত্র।দেখা গেলো এরা যত মান অভিমানই করুক ,দুজন দুজনকে ছাড়া এরা বেশিদিন থাকতে পারতো না,আবার অনুভবের এই ব্যাপারটা কেউই কারো কাছে ফাঁস করতো না।একপক্ষ সন্দেহ করতো বিপরীত পক্ষ এটা বুঝতে পারলে অতিরিক্ত দাম দেখাবে।সুতরাং কোন দূর্বলতা নয়।
এভাবেই তাদের জীবন চলতে লাগলো।আর জীবন ও সম্ভবত সবকিছুর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে বাধ্য।আর মুরুব্বীরাও বলে দীর্ঘদিন একত্রে থাকলে নাকি স্বামী-স্ত্রীর চেহারাতেও একটা মিল মিল ভাব দেখা যায়।
পুনশচঃ নায়ক নায়িকাকে একটি বৈশাখি শাড়ি উপহার দিয়েছে,তারা নাকি আবার পহেলা বৈশাখে ঘুরতেও বের হবে।পৃথিবীটা কতই না বিচিত্র!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন