আমার মরহুম নানাজান বিরল কারনে কুকুর দুই চোক্ষে দেখতে পারতেন না,আর সেই
অপত্য স্নেহের জায়গাটি দখল করে নিয়েছিলো তার ঘরের বেড়ালটি।আর কি আর বলবো
ভাই,সেই শয়তানটি মোক্ষম বুঝতে পেরেছিলো যে এই ঘরে শুধু এই বূড়োকে মেনে
চললেই চলবে।বাকীরা ফুঃ-
আমার মামা জানেরা যদিও কুকুর বেড়াল নিয়ে কারবার করেন না,তাই এসব নিয়ে তারা অনাগ্রহী।কিন্তু কেউ তাদের বাবার বিড়ালকে লাঞ্চনা-গঞ্জনা দেয়ার চেস্টা করলে তারা তা ব্যক্তিগত অপমান বলেই গ্রাহ্য করতো।সুতরাং যা হওয়ার কথা তাই ঘটতো,সেই মুর্তিমান শয়তান যে, ব্যাপক আশকারা আর নানাজানের গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রনালয় থেকে অবাধে সুযোগ পেয়ে বাওড়াল বিলাই বা মোয়াপ ওরফে রাক্ষসে পরিনত হয়েছিলো।
অতিরিক্ত আদরে সে শুধু ঘরেরই বারোটা বাজাতো না,ক্রমাম্বয়ে পাড়া-প্রতিবেশীর জন্য মুরগী,কবুতর খাওয়া একটা নিয়মিত ব্যাপারে পরিনত করে ছাড়লো।তারা বিচার নিয়ে আসার আগেই দেখতো,বিলাই মরহুম মমতাজ উদ্দিন প্রধান মানে আমার নানার কোলে মাথা গুজে বসে উ-উ-উ করে আদর খাচ্ছে।তারা বলতো-দেখেন আমাদের কি হাল করেছে?
আমার নানা বলতো-তোমরা একটা বোবা প্রানীকে কেনো এমন দোষারোপ করছো?গ্রামে কি আর কোন বিড়াল নেই।তখনি আমার নানী হুঙ্কার দিয়ে বলতো-এই লোক করবে বিচার?তোমরা নিজেরা একদিন এই শয়তান বিলাইয়ের কোন ব্যবস্থা করতে পারোনা?(নানিজান বিলাইটিকে সতীন জ্ঞানে ঘৃনা করতেন)।
নানা বলতেন-এই মহিলার দিলে আল্লাহ কোন রহম দেয় নাই,তারপর শুরু হতো ম্যারাথন এক শেষ না হওয়া কবির লড়াই,যার রেশ অনেকদিন থাকতো।নতুন কিছু না ঘটলে পুরাতনটা চাপা পড়তো না।আমার মা-খালা-মামারা মা-বাবার এই লড়াই দেখত অত্যান্ত দার্শনিক দৃস্টিভঙ্গি নিয়ে।
নানাজান তার ছেলেদের নাম যেমন কাঠিন্য নিয়ে রাখতেন,মেয়েদের নাম রাখতেন তেমনি মায়া ভরা দৃস্টি নিয়ে।যেমনঃ-মামাদের নাম বৈরাম খাঁ,সাদত খাঁ আর খালাদের নাম করুনা,অরুনা আর বাসনা।(অধম নিজে করুনাময়ীর সন্তান)।
দেখো কি কথা থেকে কি কথায় চলে গেলাম,মাতুল কাহিনী অন্য কোনদিন বলবো।
এবার আবার মেকুঁর কাহিনী।
তো হলো কি,গ্রামবাসী একটা অলিখিত মৃত্যুদন্ড জারী করে যে,মহামান্য বিলাইকে যেখানে যেই অবস্থায় পাওয়া যাবে সড়কি বা বল্লম দিয়ে বিদ্ধ করে ৩০২ ধারায় তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে।এবং লাশ অত্যান্ত গোপনীয়তার সাথে দাফন করা হবে।না হলে,সাদত খাঁ বৈরাম খাঁ নিবৃত্ত এই বিচারের দাবী নিরবে কাঁদে এই বাক্যকে অগ্রাহ্য করে দুনিয়াকে ফানাফিল্লাহ বাকিবিল্লাহ করে ছাড়বে।প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের এই খেলায় আমার নানীর সর্বসম্মতিক্রম সমর্থন গ্রামবাসীর পক্ষে রইলো।
কিন্তু ইংলিসে একটা কথা আছে না,ম্যান প্রপোজেস গড ডিস্পোজেস(এমনই তো নাকি,বয়স হইছে ভুল ভ্রান্তি ইদানিং বেশী হচ্ছে)।কুত্তামার্কা বিলাইটা সেদিন গ্রামেরই একজনের বাড়ীতে ঘটিতে মুখ দিয়ে মাথা বাজিয়ে ফেলে।তারা ঘটিতে সেদিন মাছ রেখেছিলো।সুতরাং গ্রামে যথাযোগ্য উৎসবমুখর পরিবেশে কে প্রথম সড়কি বা বল্লম মারবে তার জন্য তর্ক জমে উঠলো।সবাই মোটামোটি একমত রুইত মিয়া কাজটি করুক,কারন বল্লম মারামারিতে তিনিই এলাকার অলিম্পিক গোল্ড মেডেলিস্ট।তো শুভ কাজ দেরী করতে নেই রুইত মিয়া ইশারা ইঙ্গিতে তাই বুঝিয়ে একটা যথাযোগ্য ভাবগম্ভীর মুড নিলেন।প্রতিপক্ষের প্রতি বল্লম মারার ব্যাপারে উনি বরাবরই আপোষহীন,গ্রাম বাসীর মতামতকেও উনি যারপর নাই সন্মান করেন।তাছাড়া বল্লম এফোঁড় ওফোঁর করে ছুড়ে দেয়া তার তিন পুরুষের অহঙ্কার।আর এদিকে-
বিলাই প্রথমে হঠাত এভাবে ঘটি বা হেলমেট আটকে যাওয়ায় স্তব্দ হয়ে যায় মুহুর্ত খানেক।নিজেকে চন্দ্রবিজয়ী নীল আমস্ট্রং এর ন্যায় ভেবে বলে উঠে-ছোট এই বিড়ালের মাথার প্রবেশ বৃহত্তর মানবতার থুড়ি বিড়ালতার অনুপ্রবেশ।তারপরই তার নিয়তি সে বুঝে ফেলে।সমস্ত বাড়ী লন্ড ভন্ড করে সে মমতাজ উদ্দীন প্রধান আর তার নালায়েক পুত্রদের খুজতে থাকে।নানা নানা তুমি কোথায়(এই প্রথম আমার নানা তার নানায় পরিনত হলো)।
এই দাঁপাদাঁপিতে ভয়ঙ্কর কেলেঙ্কারি ঘটে গেলো,ব্রিটিস ও পাকিস্তান আমল এর কিংবদন্তী বল্লম নিক্ষেপক রুইত মিয়া তার ৬২ বছরের জীবনের দ্বিতীয় ভুল করে বসলেন।অর্থাত সড়কি নিক্ষেপ মিস হয়ে গেলো অল্পের জন্য।লজ্জায় তিনি ছাইবর্ন হয়ে গেলেন।গ্রামের মহিলারা এর মধ্যেই আলোচনা শুরু করে দিলেন-রুইত মিয়ার বয়স হয়েছে,চুলে ইদানিং বাটা পালিশ কলপ যতই মাখুক,যেই দিন বয়স্ক ভাতার খাতায় সে টিপসই মেরেছে সেদিনই সে শেষ।মহিলাদের অব্যাহত টিপ্পনীতে রুইত মিয়ার মনোযোগ নস্ট হচ্ছে,এই বলে সে কালুর মা আর বাবুইল্যার মাকে সেখান থেকে বের করে দেবার জোর দাবি জানালেন।দাবি গ্রান্টেট হলো।উক্ত দুই মহিলা যাবার আগে বলে গেলো-তাদের বের করে দিলেই রুইত মিয়ার হাতের টিপ ফিরে আসবে না।রুইত মিয়া ভাবলেন- না,এই বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কিছুতেই আর আগের মত মজা নেই,আইউবের আমলে সে কানা হয়ে সড়কি মারলেও তা লক্ষ্যভেদ হতো(রুইত মিয়া আইয়ুব খানের দালাল ছি্লো,যে সবকিছু্তেই আয়ুবের তুলনা করতো)।
এদিকে কে বা কারা আমার নানা্জানকে নিউজ পৌছাতে সক্ষম হয়েছেন যে,উনার কলিজার টুকরো্কে নিয়ে কি ঘৃন্য ষড়যন্ত্র চলছে।উনি সৈন্যসামন্ত বেস্টিত হয়ে সেই বাড়িতে গিয়ে দেখলেন,উনার কলিজা, গুর্দা আর ফেপ্রার উপর বৃস্টির মত বল্লম ্নিক্ষিপ্ত হচ্ছে।পিছে ্পিছে নানী্জান।উনি হুঙকার দিলেন -রুইত মিয়া!তোমার দুই রান টেনে ছিড়ে ফেলা হবে।এতেই রুইত মিয়া হয়ে গেলেন কাইত।উক্ত দুই বহিষ্কৃত মহিলা দাবী করলেন তারাই ঠিক।
আমার নানার গলার আওয়াজ পেয়ে তখনই দৌড়ে গিয়ে বিলাই তার কোলে আশ্রয় নিলেন।আর স্বস্তির ঘড়ঘড় আওয়াজ দিতে থাকলেন আর বলতে লাগলেন-নানা-নানাগো-আর একটু দেরী হলেই ওরা আমার -আয়রে আয় টিয়ে,পুক্কি দিয়ে দিয়ে -করে দিতো গো।
আর নানা খুবই স্নেহের সহীত বলতে লাগলেন-দেখো তো,মানুষ কেমন বিবেক নিয়ে থাকে।বোবা প্রানীটার কি সর্বনাশই না হতো,আমি না এলে।
সাথে সাথে আমার নানী ঝংকার দিলেন-ইশ!কি আমার দিনের নবী মোস্তফা আইছে,আমি তো আগেই কইছি-বিচার তাও আ্বার এই লোকের কাছে।আবার শুরু হয়ে গেলো ম্যারাথন কবির লড়াই।আমার মা-খালা-মামারা আ্বার দার্শনিক হয়ে গেলেন।রুইত মিয়া মামাদের কথা দিলেন,তাদের ঘুড়ির নাটাই আর মাছ ধরার চাঁই বানিয়ে দিবেন।
আমার মামা জানেরা যদিও কুকুর বেড়াল নিয়ে কারবার করেন না,তাই এসব নিয়ে তারা অনাগ্রহী।কিন্তু কেউ তাদের বাবার বিড়ালকে লাঞ্চনা-গঞ্জনা দেয়ার চেস্টা করলে তারা তা ব্যক্তিগত অপমান বলেই গ্রাহ্য করতো।সুতরাং যা হওয়ার কথা তাই ঘটতো,সেই মুর্তিমান শয়তান যে, ব্যাপক আশকারা আর নানাজানের গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রনালয় থেকে অবাধে সুযোগ পেয়ে বাওড়াল বিলাই বা মোয়াপ ওরফে রাক্ষসে পরিনত হয়েছিলো।
অতিরিক্ত আদরে সে শুধু ঘরেরই বারোটা বাজাতো না,ক্রমাম্বয়ে পাড়া-প্রতিবেশীর জন্য মুরগী,কবুতর খাওয়া একটা নিয়মিত ব্যাপারে পরিনত করে ছাড়লো।তারা বিচার নিয়ে আসার আগেই দেখতো,বিলাই মরহুম মমতাজ উদ্দিন প্রধান মানে আমার নানার কোলে মাথা গুজে বসে উ-উ-উ করে আদর খাচ্ছে।তারা বলতো-দেখেন আমাদের কি হাল করেছে?
আমার নানা বলতো-তোমরা একটা বোবা প্রানীকে কেনো এমন দোষারোপ করছো?গ্রামে কি আর কোন বিড়াল নেই।তখনি আমার নানী হুঙ্কার দিয়ে বলতো-এই লোক করবে বিচার?তোমরা নিজেরা একদিন এই শয়তান বিলাইয়ের কোন ব্যবস্থা করতে পারোনা?(নানিজান বিলাইটিকে সতীন জ্ঞানে ঘৃনা করতেন)।
নানা বলতেন-এই মহিলার দিলে আল্লাহ কোন রহম দেয় নাই,তারপর শুরু হতো ম্যারাথন এক শেষ না হওয়া কবির লড়াই,যার রেশ অনেকদিন থাকতো।নতুন কিছু না ঘটলে পুরাতনটা চাপা পড়তো না।আমার মা-খালা-মামারা মা-বাবার এই লড়াই দেখত অত্যান্ত দার্শনিক দৃস্টিভঙ্গি নিয়ে।
নানাজান তার ছেলেদের নাম যেমন কাঠিন্য নিয়ে রাখতেন,মেয়েদের নাম রাখতেন তেমনি মায়া ভরা দৃস্টি নিয়ে।যেমনঃ-মামাদের নাম বৈরাম খাঁ,সাদত খাঁ আর খালাদের নাম করুনা,অরুনা আর বাসনা।(অধম নিজে করুনাময়ীর সন্তান)।
দেখো কি কথা থেকে কি কথায় চলে গেলাম,মাতুল কাহিনী অন্য কোনদিন বলবো।
এবার আবার মেকুঁর কাহিনী।
তো হলো কি,গ্রামবাসী একটা অলিখিত মৃত্যুদন্ড জারী করে যে,মহামান্য বিলাইকে যেখানে যেই অবস্থায় পাওয়া যাবে সড়কি বা বল্লম দিয়ে বিদ্ধ করে ৩০২ ধারায় তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে।এবং লাশ অত্যান্ত গোপনীয়তার সাথে দাফন করা হবে।না হলে,সাদত খাঁ বৈরাম খাঁ নিবৃত্ত এই বিচারের দাবী নিরবে কাঁদে এই বাক্যকে অগ্রাহ্য করে দুনিয়াকে ফানাফিল্লাহ বাকিবিল্লাহ করে ছাড়বে।প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের এই খেলায় আমার নানীর সর্বসম্মতিক্রম সমর্থন গ্রামবাসীর পক্ষে রইলো।
কিন্তু ইংলিসে একটা কথা আছে না,ম্যান প্রপোজেস গড ডিস্পোজেস(এমনই তো নাকি,বয়স হইছে ভুল ভ্রান্তি ইদানিং বেশী হচ্ছে)।কুত্তামার্কা বিলাইটা সেদিন গ্রামেরই একজনের বাড়ীতে ঘটিতে মুখ দিয়ে মাথা বাজিয়ে ফেলে।তারা ঘটিতে সেদিন মাছ রেখেছিলো।সুতরাং গ্রামে যথাযোগ্য উৎসবমুখর পরিবেশে কে প্রথম সড়কি বা বল্লম মারবে তার জন্য তর্ক জমে উঠলো।সবাই মোটামোটি একমত রুইত মিয়া কাজটি করুক,কারন বল্লম মারামারিতে তিনিই এলাকার অলিম্পিক গোল্ড মেডেলিস্ট।তো শুভ কাজ দেরী করতে নেই রুইত মিয়া ইশারা ইঙ্গিতে তাই বুঝিয়ে একটা যথাযোগ্য ভাবগম্ভীর মুড নিলেন।প্রতিপক্ষের প্রতি বল্লম মারার ব্যাপারে উনি বরাবরই আপোষহীন,গ্রাম বাসীর মতামতকেও উনি যারপর নাই সন্মান করেন।তাছাড়া বল্লম এফোঁড় ওফোঁর করে ছুড়ে দেয়া তার তিন পুরুষের অহঙ্কার।আর এদিকে-
বিলাই প্রথমে হঠাত এভাবে ঘটি বা হেলমেট আটকে যাওয়ায় স্তব্দ হয়ে যায় মুহুর্ত খানেক।নিজেকে চন্দ্রবিজয়ী নীল আমস্ট্রং এর ন্যায় ভেবে বলে উঠে-ছোট এই বিড়ালের মাথার প্রবেশ বৃহত্তর মানবতার থুড়ি বিড়ালতার অনুপ্রবেশ।তারপরই তার নিয়তি সে বুঝে ফেলে।সমস্ত বাড়ী লন্ড ভন্ড করে সে মমতাজ উদ্দীন প্রধান আর তার নালায়েক পুত্রদের খুজতে থাকে।নানা নানা তুমি কোথায়(এই প্রথম আমার নানা তার নানায় পরিনত হলো)।
এই দাঁপাদাঁপিতে ভয়ঙ্কর কেলেঙ্কারি ঘটে গেলো,ব্রিটিস ও পাকিস্তান আমল এর কিংবদন্তী বল্লম নিক্ষেপক রুইত মিয়া তার ৬২ বছরের জীবনের দ্বিতীয় ভুল করে বসলেন।অর্থাত সড়কি নিক্ষেপ মিস হয়ে গেলো অল্পের জন্য।লজ্জায় তিনি ছাইবর্ন হয়ে গেলেন।গ্রামের মহিলারা এর মধ্যেই আলোচনা শুরু করে দিলেন-রুইত মিয়ার বয়স হয়েছে,চুলে ইদানিং বাটা পালিশ কলপ যতই মাখুক,যেই দিন বয়স্ক ভাতার খাতায় সে টিপসই মেরেছে সেদিনই সে শেষ।মহিলাদের অব্যাহত টিপ্পনীতে রুইত মিয়ার মনোযোগ নস্ট হচ্ছে,এই বলে সে কালুর মা আর বাবুইল্যার মাকে সেখান থেকে বের করে দেবার জোর দাবি জানালেন।দাবি গ্রান্টেট হলো।উক্ত দুই মহিলা যাবার আগে বলে গেলো-তাদের বের করে দিলেই রুইত মিয়ার হাতের টিপ ফিরে আসবে না।রুইত মিয়া ভাবলেন- না,এই বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কিছুতেই আর আগের মত মজা নেই,আইউবের আমলে সে কানা হয়ে সড়কি মারলেও তা লক্ষ্যভেদ হতো(রুইত মিয়া আইয়ুব খানের দালাল ছি্লো,যে সবকিছু্তেই আয়ুবের তুলনা করতো)।
এদিকে কে বা কারা আমার নানা্জানকে নিউজ পৌছাতে সক্ষম হয়েছেন যে,উনার কলিজার টুকরো্কে নিয়ে কি ঘৃন্য ষড়যন্ত্র চলছে।উনি সৈন্যসামন্ত বেস্টিত হয়ে সেই বাড়িতে গিয়ে দেখলেন,উনার কলিজা, গুর্দা আর ফেপ্রার উপর বৃস্টির মত বল্লম ্নিক্ষিপ্ত হচ্ছে।পিছে ্পিছে নানী্জান।উনি হুঙকার দিলেন -রুইত মিয়া!তোমার দুই রান টেনে ছিড়ে ফেলা হবে।এতেই রুইত মিয়া হয়ে গেলেন কাইত।উক্ত দুই বহিষ্কৃত মহিলা দাবী করলেন তারাই ঠিক।
আমার নানার গলার আওয়াজ পেয়ে তখনই দৌড়ে গিয়ে বিলাই তার কোলে আশ্রয় নিলেন।আর স্বস্তির ঘড়ঘড় আওয়াজ দিতে থাকলেন আর বলতে লাগলেন-নানা-নানাগো-আর একটু দেরী হলেই ওরা আমার -আয়রে আয় টিয়ে,পুক্কি দিয়ে দিয়ে -করে দিতো গো।
আর নানা খুবই স্নেহের সহীত বলতে লাগলেন-দেখো তো,মানুষ কেমন বিবেক নিয়ে থাকে।বোবা প্রানীটার কি সর্বনাশই না হতো,আমি না এলে।
সাথে সাথে আমার নানী ঝংকার দিলেন-ইশ!কি আমার দিনের নবী মোস্তফা আইছে,আমি তো আগেই কইছি-বিচার তাও আ্বার এই লোকের কাছে।আবার শুরু হয়ে গেলো ম্যারাথন কবির লড়াই।আমার মা-খালা-মামারা আ্বার দার্শনিক হয়ে গেলেন।রুইত মিয়া মামাদের কথা দিলেন,তাদের ঘুড়ির নাটাই আর মাছ ধরার চাঁই বানিয়ে দিবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন