আজ এই বিজয়ের রাতে আমার অনেক বেশী স্মরন হচ্ছে,সেইসব অজানা মুক্তিযোদ্ধাদের
কথা যারা যুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের অজানা দূর্গম প্রান্তরে শহীদ
হয়েছেন।যাদের সহযোদ্ধারা পরিস্থিতির জন্য ফেলে আসতে বাধ্য হোন।সেসব বীর
মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা কোনদিন জানলো না,কোথায় তাদের প্রানের
টুকরো শুয়ে আছে?
আমি তাদের স্মরন করছি।আমি যখন "সব কটা জানালা খুলে দাওনা" গানটা শুনি ,সত্যি সত্যি আমার মনে হয় তারা যেনো আমাদের জানালার কাছে আসে।দেখতে চায়,শুনতে চায় সত্যিই কি তাদের কেউ মনে রেখেছে?
কিংবা ইপিআর এর হাবিলদার মনু মিয়ার মত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা যে সহযোদ্ধাদের বলে ,তোমরা নিরাপদে চলে যাও।আমি কাভারিং দিবো।মাঝ বয়েসী এই বীর চাননি এই তরুন যোদ্ধারা মৃত্যুবরন করুক।তিনি কাউকে বলেন নি,কোথায় তার বাড়ী ,তার পরিবারের কথা।এমনকি তার কোন শেষ কথাও ছিলোনা।কেবল ভেবেছেন,এই তরুনদের বাঁচাতে হবে,এরাই সামনে আরো প্রশিক্ষিত হয়ে দেশমাতৃকার হয়ে প্রতিশোধ নিবে।
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেডিও অফিসের সামনে মনু মিয়ার নেতৃত্বে অজ্ঞাত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ২৭ জন পাক হানাদার মেরিন সেনা নিহত হয়।এমনকি পাক বাহিনী এপ্রিলের প্রথমদিকের এই লড়াইয়ে প্রথম দিন লাশ নেয়ার জন্য আসার সাহস করেনি।হানাদারেরা সারারাত কর্নফুলী নদীর তাদের জাহাজ থেকে সেল নিক্ষেপ করে অক্ষম আক্রোশে ।পরেরদিন অগনিত মানুষকে হত্যা করে,যাদেরকে দিয়ে মৃত হানাদারদের লাশ টানিয়েছে,তাদেরও হত্যা করেছে।
মনুমিয়া সহযোদ্ধাদের নিয়ে বীরের মত মৃত্যুকে বরন করেছে,হানাদারদের ভারী অস্ত্রের বিপরীতে তারা তাদের এই ক্ষীনবল নিয়ে মরন আঘাত হেনেছে।গুলি রসদ ফুরিয়ে যাওয়ায় মারাত্বক আহত হয়ে তাদের এই অমুল্য প্রান দেশের জন্য উতসর্গ করেছে।
তারা কোন সার্টিফিকেটের জন্য যেমন লড়েনি, তেমনি কোন শহীদ মিনার হবে তাদের স্মরনে সেটাও স্বপ্নে ভাবেন নাই।তিনি এ ভুমির মুল্য বুঝেছিলেন।তারপরও কৃতজ্ঞচিত্ত এলাকাবাসী একটি ক্ষুদ্র শহীদ মিনার বানিয়েছিলো।অনেক বছর পর রাস্তার পাশে এই মুল্যবান জমির মুল্য বুঝে কতিপয় ব্যবসায়ী বঙ্গসন্তান এপার্টমেন্ট নির্মান করে।না,প্রতিবাদ তেমন উঠেনি।সবাই মনু মিয়ার মত বেঁকুব না।যার যার ভাগ বুঝে পাওয়ার পর,তারাই বলে বেড়ায়-মনু মিয়া মনে হয় এখানে মরে নাই,রাস্তার পাশে খালটার কাছে খাস জমিটার ওখানেই মনে হয় মরেছে।
মনুমিয়া একটুও রাগ করে নাই,বলতে কি তিনি লজ্জাই পেয়েছেন।এভাবে পথের উপর মরার জন্য লজ্জা,সবাইকে অসুবিধায় ফেলার জন্য লজ্জা।ঠিকই তো আছে,একজন স্বল্পশিক্ষিত হাবিলদারের তো খাসের জমিতেই মরা সুবিধাজনক।
আমি তাদের স্মরন করছি।আমি যখন "সব কটা জানালা খুলে দাওনা" গানটা শুনি ,সত্যি সত্যি আমার মনে হয় তারা যেনো আমাদের জানালার কাছে আসে।দেখতে চায়,শুনতে চায় সত্যিই কি তাদের কেউ মনে রেখেছে?
কিংবা ইপিআর এর হাবিলদার মনু মিয়ার মত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা যে সহযোদ্ধাদের বলে ,তোমরা নিরাপদে চলে যাও।আমি কাভারিং দিবো।মাঝ বয়েসী এই বীর চাননি এই তরুন যোদ্ধারা মৃত্যুবরন করুক।তিনি কাউকে বলেন নি,কোথায় তার বাড়ী ,তার পরিবারের কথা।এমনকি তার কোন শেষ কথাও ছিলোনা।কেবল ভেবেছেন,এই তরুনদের বাঁচাতে হবে,এরাই সামনে আরো প্রশিক্ষিত হয়ে দেশমাতৃকার হয়ে প্রতিশোধ নিবে।
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেডিও অফিসের সামনে মনু মিয়ার নেতৃত্বে অজ্ঞাত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ২৭ জন পাক হানাদার মেরিন সেনা নিহত হয়।এমনকি পাক বাহিনী এপ্রিলের প্রথমদিকের এই লড়াইয়ে প্রথম দিন লাশ নেয়ার জন্য আসার সাহস করেনি।হানাদারেরা সারারাত কর্নফুলী নদীর তাদের জাহাজ থেকে সেল নিক্ষেপ করে অক্ষম আক্রোশে ।পরেরদিন অগনিত মানুষকে হত্যা করে,যাদেরকে দিয়ে মৃত হানাদারদের লাশ টানিয়েছে,তাদেরও হত্যা করেছে।
মনুমিয়া সহযোদ্ধাদের নিয়ে বীরের মত মৃত্যুকে বরন করেছে,হানাদারদের ভারী অস্ত্রের বিপরীতে তারা তাদের এই ক্ষীনবল নিয়ে মরন আঘাত হেনেছে।গুলি রসদ ফুরিয়ে যাওয়ায় মারাত্বক আহত হয়ে তাদের এই অমুল্য প্রান দেশের জন্য উতসর্গ করেছে।
তারা কোন সার্টিফিকেটের জন্য যেমন লড়েনি, তেমনি কোন শহীদ মিনার হবে তাদের স্মরনে সেটাও স্বপ্নে ভাবেন নাই।তিনি এ ভুমির মুল্য বুঝেছিলেন।তারপরও কৃতজ্ঞচিত্ত এলাকাবাসী একটি ক্ষুদ্র শহীদ মিনার বানিয়েছিলো।অনেক বছর পর রাস্তার পাশে এই মুল্যবান জমির মুল্য বুঝে কতিপয় ব্যবসায়ী বঙ্গসন্তান এপার্টমেন্ট নির্মান করে।না,প্রতিবাদ তেমন উঠেনি।সবাই মনু মিয়ার মত বেঁকুব না।যার যার ভাগ বুঝে পাওয়ার পর,তারাই বলে বেড়ায়-মনু মিয়া মনে হয় এখানে মরে নাই,রাস্তার পাশে খালটার কাছে খাস জমিটার ওখানেই মনে হয় মরেছে।
মনুমিয়া একটুও রাগ করে নাই,বলতে কি তিনি লজ্জাই পেয়েছেন।এভাবে পথের উপর মরার জন্য লজ্জা,সবাইকে অসুবিধায় ফেলার জন্য লজ্জা।ঠিকই তো আছে,একজন স্বল্পশিক্ষিত হাবিলদারের তো খাসের জমিতেই মরা সুবিধাজনক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন