নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের নামটা আমার বেশ ভালো লাগে,তার নাম গুডলাক
জোনাথন।কি সুন্দর! ভাগ্যবান জোনাথনের নামটা।এই নাম ব্যাপারটা নিয়ে এখন
ভাবছি।একেকদেশের সংস্কৃতির সাথে তাদের নাম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।যেমনঃ-মুল
রুশীরা ভ্লাদিমীর নভকভ,পাভলভ,মানে প্রায় কভ কভ,ব্যতিক্রম ও আছে।আবার
ইউক্রেনীরা শেভচোঙ্কো,ইয়েরেমেঙ্কো,শতেমেঙ্কো,তিমোশেঙ্কো এমনি হয়।
আমাদের গ্রামের কথা বলি।একজনের বাপে শখ করে ছেলের নাম রাখছে জর্জ মিয়া,আরেকজনে রাখছে পেশকার।মানুষ ডাকে পেশকারের বাপ,শুনতেও ভালো লাগে।তেমনি এক স্ত্রী লোকের নামই রাখছে বেগম মহিলা আক্তার।এটা সত্যি,আমি নিজে ঐ মহিলাকে চিনি। তেমনি একজনের নাম লীল মিয়া।আমি জিজ্ঞেস করলাম,ভাই আপনার নাম মনে হয় নীল মিয়া রাখছিলো,মানুষ ভুলে ভুলে লীল মিয়া করে ফেলছে।সে বলে,না ভাইজান বাপে আদর করে লীল মিয়াই রাখছে।কোন ভুল নাই।
একজনের নাম আবার নাবালক মিয়া।অদ্ভুত যে,সে মোটেই এতিম না।ঘর ভর্তি তার ছেলেমেয়ে।আরো আছে কম্পনি বেগম।উনি ভীষন দজ্জাল টাইপের ছিলেন ছোটবেলাই।কারো সাথে ঝগড়া হলে তার প্রতিপক্ষের অসহায় প্রানীটিকে চুলটুল ছিড়ে তারাখাড়া বানিয়ে ছাড়তেন।তাই এই উপাধি।
আর মোগলরা ছিলেন নামের ব্যাপারে বেশ সৌখিন।নামেই ছিলো তাদের সমস্ত গুনাবলীর বিবরন।নকীবরা সম্রাট দরবারে আসার আগে বেশ কেতাদুরস্ত ভাবে ঘোষনা করতো। বাবুরের পুরো নাম জহির উদ্দীন মুহম্মদ বাবুর আল সুলতানু ই আজম ওয়াল হাকান আল মুকাররাম পাতশায়ে গাজী।মোটামুটি দাঁত পড়ে যাওয়ার দশা। সেইসুত্র মতাবেক নাসির-উদ্দীন মোহাম্মদ হুমায়ুন,জালাল-উদ্দীন মুহম্মদ আকবর,নুর উদ্দীন মুহম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর,সাহাবুদ্দীন মুহম্মদ শাহজাহান এবং আলমগীর মুহম্মদ আওরঙ্গজেব এই সব মুল নামের সাথে যুক্ত হতো আল সুলতানু ই আজম ওয়াল হাকান আল মুকাররাম পাতশায়ে গাজী এই রাজকীয় পদবী।
না,আর লম্বা করবো না।যথেস্ট বকে ফেলেছি।কি কথা থেকে কোথায় এসে পড়েছি।আমার কোন দোষ নাই।স্টাটাসের এখানে চোখ পড়তে দেখি লেখা-আপনি এখন কি ভাবছেন?তাতেই গোল বেধে গেলো।
আমাদের গ্রামের কথা বলি।একজনের বাপে শখ করে ছেলের নাম রাখছে জর্জ মিয়া,আরেকজনে রাখছে পেশকার।মানুষ ডাকে পেশকারের বাপ,শুনতেও ভালো লাগে।তেমনি এক স্ত্রী লোকের নামই রাখছে বেগম মহিলা আক্তার।এটা সত্যি,আমি নিজে ঐ মহিলাকে চিনি। তেমনি একজনের নাম লীল মিয়া।আমি জিজ্ঞেস করলাম,ভাই আপনার নাম মনে হয় নীল মিয়া রাখছিলো,মানুষ ভুলে ভুলে লীল মিয়া করে ফেলছে।সে বলে,না ভাইজান বাপে আদর করে লীল মিয়াই রাখছে।কোন ভুল নাই।
একজনের নাম আবার নাবালক মিয়া।অদ্ভুত যে,সে মোটেই এতিম না।ঘর ভর্তি তার ছেলেমেয়ে।আরো আছে কম্পনি বেগম।উনি ভীষন দজ্জাল টাইপের ছিলেন ছোটবেলাই।কারো সাথে ঝগড়া হলে তার প্রতিপক্ষের অসহায় প্রানীটিকে চুলটুল ছিড়ে তারাখাড়া বানিয়ে ছাড়তেন।তাই এই উপাধি।
আর মোগলরা ছিলেন নামের ব্যাপারে বেশ সৌখিন।নামেই ছিলো তাদের সমস্ত গুনাবলীর বিবরন।নকীবরা সম্রাট দরবারে আসার আগে বেশ কেতাদুরস্ত ভাবে ঘোষনা করতো। বাবুরের পুরো নাম জহির উদ্দীন মুহম্মদ বাবুর আল সুলতানু ই আজম ওয়াল হাকান আল মুকাররাম পাতশায়ে গাজী।মোটামুটি দাঁত পড়ে যাওয়ার দশা। সেইসুত্র মতাবেক নাসির-উদ্দীন মোহাম্মদ হুমায়ুন,জালাল-উদ্দীন মুহম্মদ আকবর,নুর উদ্দীন মুহম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর,সাহাবুদ্দীন মুহম্মদ শাহজাহান এবং আলমগীর মুহম্মদ আওরঙ্গজেব এই সব মুল নামের সাথে যুক্ত হতো আল সুলতানু ই আজম ওয়াল হাকান আল মুকাররাম পাতশায়ে গাজী এই রাজকীয় পদবী।
না,আর লম্বা করবো না।যথেস্ট বকে ফেলেছি।কি কথা থেকে কোথায় এসে পড়েছি।আমার কোন দোষ নাই।স্টাটাসের এখানে চোখ পড়তে দেখি লেখা-আপনি এখন কি ভাবছেন?তাতেই গোল বেধে গেলো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন