ঘটনাটা আমার মামাকে নিয়ে।স্বপন মামা আমার অত্যান্ত প্রিয় একজন মানুষ,শুধু
মামাই নয় সে আমাদের ভাগ্নেদের বন্ধু।কারন উনি বয়সেও আমাদের থেকে অল্পকিছু
বড়।জীবনে উনার যতটাকা আমরা নস্ট করছি,সে বলার মত না।একটুও বাড়িয়ে বলছি
না,উনি আমাদের কখনো না বলেননি কোন কিছু কেনার ব্যাপারে।সেই মামা শেষপর্যন্ত
প্রেমে পড়লো,উনাদেরই এলাকার আমার বর্তমান মামীর সাথে।আল্লাহর অসীম রহমত
মামীও মামার মতই আমাদের বন্ধু।
ঘটনাটাই বলি,মামা এলাকায় যুবকদের নেতা,রাজনীতি করেন, বলতে কি এলাকার সকল ব্যাপারে উনি আর উনার দল এতোই অগ্রগামী যে এলাকার চেয়ারম্যান ,মেম্বার উনার শত্রু হয়ে গেলো স্বার্থের দ্বন্দে।এলাকার বিচার-আচার পর্যন্ত তারা নিয়ন্ত্রন করতো।ফলে চেয়ারম্যান ও মেম্বার এ ব্যাপারটায় বিশেষ ক্ষুদ্ধ।তার উপর রিলিফ আসলে মামার দল এতো বেশী হিসাব রাখতো যে,চেয়ারম্যান পদটার প্রতি চেয়ারম্যানের বিরক্তি এসে গেছে।উনি ঢাকায় উনার ব্যবসা প্রতিস্টানে বেশী সময় দেয়া শুরু করলো।
যেই মামা এতো নীতিবান,সমস্ত অসামাজিক ব্যাপার গুলো নিয়ন্ত্রনে সিদ্ধহস্ত তিনি প্রেমে পড়লেন।এক সন্ধ্যায় উনি মামীকে নিয়ে যখন একটু আবেগঘন মুহুর্তে ব্যস্ত,উনারা তখন রাগ-অনুরাগ পর্ব চালাচ্ছিলেন।এই অসতর্ক মুহুর্তে হঠাত কে যেনো টর্চের আলো তাদের গায়ে নিক্ষিপ্ত করলো।মামা ক্ষুদ্ধ হয়ে জিজ্ঞেস করলো-কে রে? মেম্বার বললো-জ্বি আমি।
আমার মামা যা বোঝার বুঝে নিলেন।সর্বনাশের চুড়ান্ত হয়েছে।এখন শুধু আল্লাহ ভরসা।মেম্বার এখন ব্যাপারটা নিয়ে কি ঘটাবেন,তা আমার মামা সেকেন্ডের চার ভাগের এক ভাগ সময়ে বুঝে গেলেন।বাকী ঘটনাটা আমি মামার জবানিতে বলি,-
বুঝলি ভাইগ্না আমার তো যা সর্বনাশ হইছে তা হইছে,আমি তখন চিন্তা করতেছি তোর মামীর ভাইদের ব্যাপারে আর চেয়ারম্যানের ব্যাপারে।তোর মামীর সমুহ বিপদ।সাথে সাথে আমার মাথায় রাগ আর একটা কুবুদ্ধি একিই সাথে চাঁপলো,যেটা সচরাচর ঘটেনা।আল্লাহর রহমত আর কি।যেখানে দুইজন দাঁড়িয়েছিলাম,তার পাশেই ছিলো একজনের রান্নাঘর।সেখান থেকে দাঁও একটা নিয়ে হুঙ্কার দিয়ে মেম্বারকে দৌড়ানো শুরু করলাম।চেয়ারম্যানও ঐদিন গ্রামে।মেম্বার প্রান বাঁচাতে সেদিকে দৌড়াতে থাকলো।চেয়ারম্যান অফিসে আগে মেম্বারই দৌড়িয়ে ঢুকলো,তার পিছে দাঁ নিয়ে আমি।দুজনই মারাত্বক হাফাচ্ছি।অফিসে সেসময় কি একটা গ্রাম্য সালিস চলছিলো।মেম্বার কিছু বলার আগেই আমি বললাম -শুনেন আপনারা এই মেম্বার অনেকদিন আমার চরিত্র হানিকর কথা বলে বেড়াচ্ছিলো,আজ হাতেনাতে তাকে পাইছি।আমি তাকে খুন করে জেলে যাবো।দরকার নাই এই জীবনের।
চেয়ারম্যান মেম্বারকে জিজ্ঞেস করলো,কি ব্যাপার?অত্যান্ত আশ্চর্যের ব্যাপার যে আমার মামাকেও সে অবাক করে দিয়ে বললো-স্বপন ভাই,আমি ভুল করছি।আমারে ক্ষমা করে দিয়েন।আসলে এমন নাটকীয় সমাপ্তি মামা নিজেও আশা করেনি।
নটে শাঁকটি মুড়োলো,আমার গল্প ফুরোলো।
ঘটনাটাই বলি,মামা এলাকায় যুবকদের নেতা,রাজনীতি করেন, বলতে কি এলাকার সকল ব্যাপারে উনি আর উনার দল এতোই অগ্রগামী যে এলাকার চেয়ারম্যান ,মেম্বার উনার শত্রু হয়ে গেলো স্বার্থের দ্বন্দে।এলাকার বিচার-আচার পর্যন্ত তারা নিয়ন্ত্রন করতো।ফলে চেয়ারম্যান ও মেম্বার এ ব্যাপারটায় বিশেষ ক্ষুদ্ধ।তার উপর রিলিফ আসলে মামার দল এতো বেশী হিসাব রাখতো যে,চেয়ারম্যান পদটার প্রতি চেয়ারম্যানের বিরক্তি এসে গেছে।উনি ঢাকায় উনার ব্যবসা প্রতিস্টানে বেশী সময় দেয়া শুরু করলো।
যেই মামা এতো নীতিবান,সমস্ত অসামাজিক ব্যাপার গুলো নিয়ন্ত্রনে সিদ্ধহস্ত তিনি প্রেমে পড়লেন।এক সন্ধ্যায় উনি মামীকে নিয়ে যখন একটু আবেগঘন মুহুর্তে ব্যস্ত,উনারা তখন রাগ-অনুরাগ পর্ব চালাচ্ছিলেন।এই অসতর্ক মুহুর্তে হঠাত কে যেনো টর্চের আলো তাদের গায়ে নিক্ষিপ্ত করলো।মামা ক্ষুদ্ধ হয়ে জিজ্ঞেস করলো-কে রে? মেম্বার বললো-জ্বি আমি।
আমার মামা যা বোঝার বুঝে নিলেন।সর্বনাশের চুড়ান্ত হয়েছে।এখন শুধু আল্লাহ ভরসা।মেম্বার এখন ব্যাপারটা নিয়ে কি ঘটাবেন,তা আমার মামা সেকেন্ডের চার ভাগের এক ভাগ সময়ে বুঝে গেলেন।বাকী ঘটনাটা আমি মামার জবানিতে বলি,-
বুঝলি ভাইগ্না আমার তো যা সর্বনাশ হইছে তা হইছে,আমি তখন চিন্তা করতেছি তোর মামীর ভাইদের ব্যাপারে আর চেয়ারম্যানের ব্যাপারে।তোর মামীর সমুহ বিপদ।সাথে সাথে আমার মাথায় রাগ আর একটা কুবুদ্ধি একিই সাথে চাঁপলো,যেটা সচরাচর ঘটেনা।আল্লাহর রহমত আর কি।যেখানে দুইজন দাঁড়িয়েছিলাম,তার পাশেই ছিলো একজনের রান্নাঘর।সেখান থেকে দাঁও একটা নিয়ে হুঙ্কার দিয়ে মেম্বারকে দৌড়ানো শুরু করলাম।চেয়ারম্যানও ঐদিন গ্রামে।মেম্বার প্রান বাঁচাতে সেদিকে দৌড়াতে থাকলো।চেয়ারম্যান অফিসে আগে মেম্বারই দৌড়িয়ে ঢুকলো,তার পিছে দাঁ নিয়ে আমি।দুজনই মারাত্বক হাফাচ্ছি।অফিসে সেসময় কি একটা গ্রাম্য সালিস চলছিলো।মেম্বার কিছু বলার আগেই আমি বললাম -শুনেন আপনারা এই মেম্বার অনেকদিন আমার চরিত্র হানিকর কথা বলে বেড়াচ্ছিলো,আজ হাতেনাতে তাকে পাইছি।আমি তাকে খুন করে জেলে যাবো।দরকার নাই এই জীবনের।
চেয়ারম্যান মেম্বারকে জিজ্ঞেস করলো,কি ব্যাপার?অত্যান্ত আশ্চর্যের ব্যাপার যে আমার মামাকেও সে অবাক করে দিয়ে বললো-স্বপন ভাই,আমি ভুল করছি।আমারে ক্ষমা করে দিয়েন।আসলে এমন নাটকীয় সমাপ্তি মামা নিজেও আশা করেনি।
নটে শাঁকটি মুড়োলো,আমার গল্প ফুরোলো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন