আজকাল অনেক বন্ধুর জন্মদিন ও তা সেলিব্রেশন দেখে আমার আগেকার দিনের কথা মনে
পড়ে যায়।আজ থেকে ২০-২২ বছর আগে আমরা যখন থ্রি ফোরে পড়তাম,তখন একটু
উচ্চবিত্তরা এটি বেশ জাকঝমকের সাথে পালন করতো।আমরা মধ্যবিত্তেরা তেমন একটা
পালন করতাম না,কিন্তু অংশগ্রহন করতাম।আমার নিজের ছোট ভাইটি ৩-৪ বছর হওয়ার
পর অনেকটা তার পীড়াপিড়িতে এটি আমরা পালন করা শুরু করি,কারন অন্যদের দেখে
সেও তা পালন করতে আমাদের বাধ্য করে।তার জন্মদিন এগিয়ে আসার ১মাস আগে থেকে
সে তার ফরমায়েস গুলা জানিয়ে রাখতো ,আমরাও সম্ভ্রাব্য ঝামেলা এড়াতে তা পালন
করতাম।আর তখন আমার মত অভাবি লোক ও তার জন্য ১০টি টাকা রাখতাম।এবং অত্যান্ত
আশ্চর্যের বিষয় এই যে ,তাকে এটি দিতে পেরে দারুন আনন্দ পেতাম।
তখনকার দিনে অনেকের জন্মদিন বাবা-মারা মনে রাখতে পারতো না।আমাদের আগের যুগের মা-বাবারা জীবনযুদ্ধে এতোই নিয়োজিত থাকতো যে,তারা কেবল জন্মের বাংলা মাস ও বাংলা বছরটা মনে রাখতো।সে আমলের অনেকের দেখবেন জন্মতারিখ স্কুলে রেজিস্ট্রেসনের সুবিধার্থে বিভিন্ন মাসের ১ তারিখে।না সে যুগের মা-বাবাদের হেয় করছি না,বরং হাজার বছর পরো এমন মা-বাবা আবার আল্লাহর কাছে চাইব।
তো ব্যাপারটা এমন হলো,আমি আমার আম্মাকে যদি জিজ্ঞেস করতাম,আম্মা আমি কবে হইছি?আম্মা বলত,তুই শাওন মাসের ১৩ তারিখ মঙ্গলবার বাংলা ১৩৮৫ সালে হয়ছোত।তারপর আমি তা ইংরেজীতে কনভার্ট করে বের করতাম,পরে ক্যালেন্ডার বের করে দেখতাম সত্যিই ইংরেজী সেদিনটায় মঙ্গলবার ছিলো।বুঝেন অবস্থা!এ নিয়ে আমি আম্মার সাথে এখনো মজা করি।আমার এক বড় ভাই তার মাকে জিজ্ঞেস করাতে তার মা জানালো,তুই গন্ডগোলের বছর(১৯৭১) যেইবার পাঞ্জাবীরা গ্রামে আইছে,তুই আছিলি পেডে,পাঞ্জাবি আইছে হেইডা হুইন্না আমরা পাটক্ষেতে গিয়া লুকাইছি আর তুই হেইসময় অইছত।এর লাইজ্ঞা তোর নাম বিপ্লব রাখছি।
আবার কোন মার জবাব ছিলো,হেইবার যখন আমরার কালা গাইডা ড্যাহা বিয়াইছে,তুই হেইসময় অয়ছত।আমরা দো খুব খুশী যে দুধের অভাব হইতো না।আহহারে এর দুইদিন পর ড্যাহাডা মইরা গেছে গা।কি বিপদ বাচ্চা মইরাছে গা দেইক্ষা গাই ত আর দুধ দেই না।শেষমেষ তোর নানায় খড় দিয়া নকল ড্যাহা বানাইয়া দুধ দোয়াইতো।
আবার কোন কোন খালাম্মা বলতো,যেইবার ঠ্যাডা পইড়া রাজ্যের মানুষ মরছে,হেই বছর আমরার ফজলুয়ে অয়ছে।এখন আপনারা খুজে বের করেন কোন বছর রাজ্যের ঠ্যাডা পড়ছে!
আবার কোন কোন খালাম্মা বলতো,যেইবার গ্রামো সার্কাসের দলের হাতি ছুইট্টা দুইটা মানুষ পাড়াইয়া মাইরা লাইছে,ইডা হুইন্না ডরে আমার ব্যথা উঠলো,হেইদিন রাইতে তুই অইছত। হারামজাদা কি বৃষ্টি চারোদিক,এর মধ্যে তোর দুনিয়াত আইবার লাইজ্ঞা ফালাফালি।যেমন তোর হাঙ্গা লাগছে,তোর লাইজ্ঞা তারাহুরা কইরা আইবার সময় হাজেরার মা(দাই মা) পিছলা খাইয়া কোমরডা বাংলো।হারামজাদা তুই এখনো পাড়াডারে জ্বালাইয়া কইলা বানাইলাছ।তরে লইয়া অক্করে খুলুবারি হইছে।
এমনি কত কি।না ,আমাদের সেই ৮০-৯০ এর দশক মোটেও খারাপ ছিলো না।আমরা জীবনের শ্রেস্ট সময় তখনই কাটিয়েছি।এমন স্নেহময়ী বাবা-মা আমরা কোন দিন হতে পারব না,এমন সহজ সরল মা-বাবা আর কখনো পাব না
তখনকার দিনে অনেকের জন্মদিন বাবা-মারা মনে রাখতে পারতো না।আমাদের আগের যুগের মা-বাবারা জীবনযুদ্ধে এতোই নিয়োজিত থাকতো যে,তারা কেবল জন্মের বাংলা মাস ও বাংলা বছরটা মনে রাখতো।সে আমলের অনেকের দেখবেন জন্মতারিখ স্কুলে রেজিস্ট্রেসনের সুবিধার্থে বিভিন্ন মাসের ১ তারিখে।না সে যুগের মা-বাবাদের হেয় করছি না,বরং হাজার বছর পরো এমন মা-বাবা আবার আল্লাহর কাছে চাইব।
তো ব্যাপারটা এমন হলো,আমি আমার আম্মাকে যদি জিজ্ঞেস করতাম,আম্মা আমি কবে হইছি?আম্মা বলত,তুই শাওন মাসের ১৩ তারিখ মঙ্গলবার বাংলা ১৩৮৫ সালে হয়ছোত।তারপর আমি তা ইংরেজীতে কনভার্ট করে বের করতাম,পরে ক্যালেন্ডার বের করে দেখতাম সত্যিই ইংরেজী সেদিনটায় মঙ্গলবার ছিলো।বুঝেন অবস্থা!এ নিয়ে আমি আম্মার সাথে এখনো মজা করি।আমার এক বড় ভাই তার মাকে জিজ্ঞেস করাতে তার মা জানালো,তুই গন্ডগোলের বছর(১৯৭১) যেইবার পাঞ্জাবীরা গ্রামে আইছে,তুই আছিলি পেডে,পাঞ্জাবি আইছে হেইডা হুইন্না আমরা পাটক্ষেতে গিয়া লুকাইছি আর তুই হেইসময় অইছত।এর লাইজ্ঞা তোর নাম বিপ্লব রাখছি।
আবার কোন মার জবাব ছিলো,হেইবার যখন আমরার কালা গাইডা ড্যাহা বিয়াইছে,তুই হেইসময় অয়ছত।আমরা দো খুব খুশী যে দুধের অভাব হইতো না।আহহারে এর দুইদিন পর ড্যাহাডা মইরা গেছে গা।কি বিপদ বাচ্চা মইরাছে গা দেইক্ষা গাই ত আর দুধ দেই না।শেষমেষ তোর নানায় খড় দিয়া নকল ড্যাহা বানাইয়া দুধ দোয়াইতো।
আবার কোন কোন খালাম্মা বলতো,যেইবার ঠ্যাডা পইড়া রাজ্যের মানুষ মরছে,হেই বছর আমরার ফজলুয়ে অয়ছে।এখন আপনারা খুজে বের করেন কোন বছর রাজ্যের ঠ্যাডা পড়ছে!
আবার কোন কোন খালাম্মা বলতো,যেইবার গ্রামো সার্কাসের দলের হাতি ছুইট্টা দুইটা মানুষ পাড়াইয়া মাইরা লাইছে,ইডা হুইন্না ডরে আমার ব্যথা উঠলো,হেইদিন রাইতে তুই অইছত। হারামজাদা কি বৃষ্টি চারোদিক,এর মধ্যে তোর দুনিয়াত আইবার লাইজ্ঞা ফালাফালি।যেমন তোর হাঙ্গা লাগছে,তোর লাইজ্ঞা তারাহুরা কইরা আইবার সময় হাজেরার মা(দাই মা) পিছলা খাইয়া কোমরডা বাংলো।হারামজাদা তুই এখনো পাড়াডারে জ্বালাইয়া কইলা বানাইলাছ।তরে লইয়া অক্করে খুলুবারি হইছে।
এমনি কত কি।না ,আমাদের সেই ৮০-৯০ এর দশক মোটেও খারাপ ছিলো না।আমরা জীবনের শ্রেস্ট সময় তখনই কাটিয়েছি।এমন স্নেহময়ী বাবা-মা আমরা কোন দিন হতে পারব না,এমন সহজ সরল মা-বাবা আর কখনো পাব না
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন