ক্যারিয়ারিস্ট,সফল ধনী লোক ,সামরিক কর্মকর্তা ইত্যাদি হয়ে লাভ কি যদি আমার
ঘরে আমার মা-বাবারই জায়গা না হয়।তাই আমি সবসময় চাই,সন্তান যেনো ভালো মানুষ
হয়ে গড়ে উঠে।তার মধ্যে যেনো মানবিকতার পরিপুর্ন বিকাশ হয়।সে যেনো তার
পরিবারকে ভালোবাসে।আমার এমন শিক্ষিত সন্তান দরকার নাই, যে বৃদ্ধ বয়সে
বাবা-মা কে বৃদ্ধাশ্রমে রাখে।আমার একটি মুর্খ ছেলে দরকার যে বাবা-মা কে তার
বুক দিয়ে স্নেহ-মমতা দিয়ে আগলে রাখবে।
আজকে হিন্দি সিনেমা বাগবান দ্যাখে আমার মনে হলো,আমাদের দেশে এখন এমন ঘটনা হরদম ঘটছে।সারাজীবন বাবা-মা সন্তানের পিছনে তাদের জীবন শক্তি ব্যয় করার পর বৃদ্ধ বয়সে এসে তারা পুত্রের কাছে স্যানিটারি নেপকিন হয়ে যান।কত অবহেলা,কত অনাদর তারা পান তাদের স্নেহের ধন থেকে।আর শুক্কুর বার শুক্কুর বার আট দিন হয় নাই,আসছে এমন একটা মেয়ে হয়ে যায় পুত্রের প্রানের চেয়ে প্রিয়।আমি নিজে দেখেছি এমন এক দম্পতিকে যারা তাদের পুত্র সন্তানকে নিয়েই আজীবন ব্যস্ত ছিলো।পুত্রকে ক্যাডেট কলেজে পড়িয়েছে,তারা তাকে নিয়ে কি গর্বিতই না ছিলো।অথচ এই দম্পতির আরো দুইটি মেয়েও ছিলো।কিন্তু বাবা মা ছেলের ক্যারিয়ার নিয়ে এতো সময় দিয়েছিলো যে মেয়েরা তাদের নিজের উদ্যোগেই পড়ালেখা করেছিলো।তাদের ভাইয়ের প্রতি কোন ইর্ষা ছিলো না,তারাও গর্ববোধ করতো যে আমার ভাই সামরিক কর্মকর্তা।আমাদের সামরিক কর্মকর্তা অবশেষে তারই সহকর্মী আরেক সামরিক কর্মকর্ত্রীকে বিয়ে করেন।তারা দুজনই এতো শিক্ষিত যে তারা দুই উর্ধত্বন অফিসার মিলে মিটিং করে বুঝতে পারলো,বুড়ো-বুড়িকে মাসিক ভাড়া দিয়ে একটা ক্যারিয়ারবিহীন এরিয়ায় রাখাই অধিক যুক্তিযোক্ত হবে।তাছাড়া সামরিক এরিয়ায় এসব উঠকো ঝামেলা অনেকটা এমন যে,এইসব বুড়া-বুড়ি না থাকার চেয়ে তিন লাখ টাকা ঋন থাকা ঢের ভালো।এই হলো আমাদের দেশের বাগবান এর কাহিনী।
আরেকজন বউয়ের জন্য এসি কিনে কিভাবে আমাদের শোনাবে,এই চিন্তায় পেরেশান।অবশেষে বললো,কয়দিনের গরমটা খেয়াল করলি?স্রেফ মানুষ মারা গরম।বুঝলি আমি তো সারাদিন এসিতে থাকি।গরম তেমন টের পাই না।সেদিন অফিস থেকে ফিরে দেখি কি,তোর ভাবির গায়ে ফোসকা পড়ার মত দাগ,বিশ্বাস কর আমি ডুকরে কেদে দিয়েছি।পরেরদিন কোন কথা না বলে এসি কিনলাম,৫২০০০ হাজার টাকা ২টনের স্প্লিট এসি।আর আমি বলি,ঠিকই তো করছো।তুমি থাকবা এসিমে,তুম হারা বিবি তেসিমে বাট এসে ক্যায়সে হো স্যাকতা হ্যায়।কিউ কি তুম হারা পাস বহুত পয়সা হ্যায়।
তার স্নেহময়ী মা কখনো এসিতে ছিলেন না,কি পরিশ্রমই না করতেন সমগ্র সংসারটির জন্য।আজকে বউকে এসিতে শীতল করার সময় জানি না কখনো তার জান্নাতবাসী মার কথা মনে পড়ে কি না।
থাক আজ আমার কি জানি হইছে,বেশী বকলে আবার আমার মুখ দিয়ে বহুত কথা বের হয়ে পড়বে।অতএব এবার ক্ষান্ত দি।
আজকে হিন্দি সিনেমা বাগবান দ্যাখে আমার মনে হলো,আমাদের দেশে এখন এমন ঘটনা হরদম ঘটছে।সারাজীবন বাবা-মা সন্তানের পিছনে তাদের জীবন শক্তি ব্যয় করার পর বৃদ্ধ বয়সে এসে তারা পুত্রের কাছে স্যানিটারি নেপকিন হয়ে যান।কত অবহেলা,কত অনাদর তারা পান তাদের স্নেহের ধন থেকে।আর শুক্কুর বার শুক্কুর বার আট দিন হয় নাই,আসছে এমন একটা মেয়ে হয়ে যায় পুত্রের প্রানের চেয়ে প্রিয়।আমি নিজে দেখেছি এমন এক দম্পতিকে যারা তাদের পুত্র সন্তানকে নিয়েই আজীবন ব্যস্ত ছিলো।পুত্রকে ক্যাডেট কলেজে পড়িয়েছে,তারা তাকে নিয়ে কি গর্বিতই না ছিলো।অথচ এই দম্পতির আরো দুইটি মেয়েও ছিলো।কিন্তু বাবা মা ছেলের ক্যারিয়ার নিয়ে এতো সময় দিয়েছিলো যে মেয়েরা তাদের নিজের উদ্যোগেই পড়ালেখা করেছিলো।তাদের ভাইয়ের প্রতি কোন ইর্ষা ছিলো না,তারাও গর্ববোধ করতো যে আমার ভাই সামরিক কর্মকর্তা।আমাদের সামরিক কর্মকর্তা অবশেষে তারই সহকর্মী আরেক সামরিক কর্মকর্ত্রীকে বিয়ে করেন।তারা দুজনই এতো শিক্ষিত যে তারা দুই উর্ধত্বন অফিসার মিলে মিটিং করে বুঝতে পারলো,বুড়ো-বুড়িকে মাসিক ভাড়া দিয়ে একটা ক্যারিয়ারবিহীন এরিয়ায় রাখাই অধিক যুক্তিযোক্ত হবে।তাছাড়া সামরিক এরিয়ায় এসব উঠকো ঝামেলা অনেকটা এমন যে,এইসব বুড়া-বুড়ি না থাকার চেয়ে তিন লাখ টাকা ঋন থাকা ঢের ভালো।এই হলো আমাদের দেশের বাগবান এর কাহিনী।
আরেকজন বউয়ের জন্য এসি কিনে কিভাবে আমাদের শোনাবে,এই চিন্তায় পেরেশান।অবশেষে বললো,কয়দিনের গরমটা খেয়াল করলি?স্রেফ মানুষ মারা গরম।বুঝলি আমি তো সারাদিন এসিতে থাকি।গরম তেমন টের পাই না।সেদিন অফিস থেকে ফিরে দেখি কি,তোর ভাবির গায়ে ফোসকা পড়ার মত দাগ,বিশ্বাস কর আমি ডুকরে কেদে দিয়েছি।পরেরদিন কোন কথা না বলে এসি কিনলাম,৫২০০০ হাজার টাকা ২টনের স্প্লিট এসি।আর আমি বলি,ঠিকই তো করছো।তুমি থাকবা এসিমে,তুম হারা বিবি তেসিমে বাট এসে ক্যায়সে হো স্যাকতা হ্যায়।কিউ কি তুম হারা পাস বহুত পয়সা হ্যায়।
তার স্নেহময়ী মা কখনো এসিতে ছিলেন না,কি পরিশ্রমই না করতেন সমগ্র সংসারটির জন্য।আজকে বউকে এসিতে শীতল করার সময় জানি না কখনো তার জান্নাতবাসী মার কথা মনে পড়ে কি না।
থাক আজ আমার কি জানি হইছে,বেশী বকলে আবার আমার মুখ দিয়ে বহুত কথা বের হয়ে পড়বে।অতএব এবার ক্ষান্ত দি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন