আমাদের বন্ধু শাহীন ও সুমন দুজনেরই বাড়ি মীরসরাই হওয়ার পরও তাদের মধ্যে
বিন্দুমাত্র মিল-মহব্বত নেই।এরা একজন আরেকজনকে নাম বিকৃত করে ডাকে।যেমনঃ-
সুমনের বাড়ি করের হাট মীরসরাইয়ের পুবদিকে,তাই শাহীন বলে বেড়ায় -আমাদের
পুবদিকে পাহাড় সেখানে কোন ভদ্রলোক থাকে না।একমাত্র ওবায়েদ বলী বলে এক লোক
সেদিকে থাকতো সেই যা কিছু পরিচিত।তাও আবার খালী বলী খেলতো।তাই সুমনকে সে
বলতো,হুব কুইল্লা মাগির হুত(পুবদিকের _ _ _ পুত)।
আর শাহীন কালো হওয়াতে সুমন বলতো,ওদের দেশে কাজ করার লোকগুলো বা মুনীষ গুলো অনেকটা এই শাহীনের মতোই দেখতে।কালো বলিস্ট এই কুলীদের তারা নাকি কাদিরা বলে(এদের কোন আলাদা নামে ডাকতে মুখ খরচ করতে নাকি সময় বাঁচে,তাই কাদিরা নাম,এটা ডাকাও সহজ।
তাই আড্ডায় আসলেই শাহীন বলে,হুব কুইল্লা মাগির হুত কোনাই?(সে কোথায়)
আর সুমন আসলে বলে,কাদিরা এবো আইয়ে নো?(কাদিরা এখনো আসেনি)
আর সুমনের নামের সাথে চৌধুরী শাহীন কোনমতে মানতে নারাজ,তার কথা পুবদিকে কেমনে চৌধুরী নাম থাকে?এগুলা তো শুধু আমাদের নিজামপুর এলাকায় আছে।আমরা মোঘলদের আমলের লোক।শাহ সুজা আমাদের এখানে দিয়ে বার্মা গেছে।নিজামপুর পরগনা ঐতিহাসিক জায়গা।আমাদের এদিকে আছে পরাগল খাঁ দিঘী,ছুটি খাঁ দিঘী,ছদর মা দিঘী।এগুলো সব ঐতিহাসিক এলাকা।পাহাড়ি গুলা এগুলার কি মুল্য
বুঝবে?ওবায়েদ বলীর দেশের লোক বলী খেলা ছাড়া আর কি বাল বুঝবে?
তো সেইদিন শাহীনের খালি ঘরে আমরা সবাই আড্ডা দিচ্ছিলাম।আম,কাঠাল,জাম,লিচু কেনা নিয়ে কথা হচ্ছিলো।শাহীন একটু গাল-গপ্প বেশীই মারে,সে বলছে আরে আমি তোরার মতো ২কেজি ৫কেজি আম কিনিনা।আমি কিনলে এক পেটী আম কিনি।কে বার বার বাজারে যায়।
সাথে সাথে সুমন বসা থেকে লাফ দিয়ে উঠে শাহীনের রান্নাঘরের জানালা দিয়ে নিচের দিকে ভালো করে কি জানি দেখলো।আবার সেখান থেকে ফিরে সামনের বারান্দার গ্রিলের নিচে সানসেট দেখে এসে বললো-এরে চু-----র পুত।গালের পর গাল যে হিডোর,ফেডি ফেডি আম বলে খাই হালাছ,কই আই তো তোর রান্দাঘর আর বারান্দার সামনের নিচে সানসেটে অউজ্ঞা আমের ছোলকা আর বড়াও হড়ি থাইকতে দেইকলাম না।হেতে আর বালের হুরুট(ফ্রুট) খায়।
ভয়ানক মারপিট হয়েছিলো।থামাতে বেশ পরিশ্রম হয়েছে।
আর শাহীন কালো হওয়াতে সুমন বলতো,ওদের দেশে কাজ করার লোকগুলো বা মুনীষ গুলো অনেকটা এই শাহীনের মতোই দেখতে।কালো বলিস্ট এই কুলীদের তারা নাকি কাদিরা বলে(এদের কোন আলাদা নামে ডাকতে মুখ খরচ করতে নাকি সময় বাঁচে,তাই কাদিরা নাম,এটা ডাকাও সহজ।
তাই আড্ডায় আসলেই শাহীন বলে,হুব কুইল্লা মাগির হুত কোনাই?(সে কোথায়)
আর সুমন আসলে বলে,কাদিরা এবো আইয়ে নো?(কাদিরা এখনো আসেনি)
আর সুমনের নামের সাথে চৌধুরী শাহীন কোনমতে মানতে নারাজ,তার কথা পুবদিকে কেমনে চৌধুরী নাম থাকে?এগুলা তো শুধু আমাদের নিজামপুর এলাকায় আছে।আমরা মোঘলদের আমলের লোক।শাহ সুজা আমাদের এখানে দিয়ে বার্মা গেছে।নিজামপুর পরগনা ঐতিহাসিক জায়গা।আমাদের এদিকে আছে পরাগল খাঁ দিঘী,ছুটি খাঁ দিঘী,ছদর মা দিঘী।এগুলো সব ঐতিহাসিক এলাকা।পাহাড়ি গুলা এগুলার কি মুল্য
বুঝবে?ওবায়েদ বলীর দেশের লোক বলী খেলা ছাড়া আর কি বাল বুঝবে?
তো সেইদিন শাহীনের খালি ঘরে আমরা সবাই আড্ডা দিচ্ছিলাম।আম,কাঠাল,জাম,লিচু কেনা নিয়ে কথা হচ্ছিলো।শাহীন একটু গাল-গপ্প বেশীই মারে,সে বলছে আরে আমি তোরার মতো ২কেজি ৫কেজি আম কিনিনা।আমি কিনলে এক পেটী আম কিনি।কে বার বার বাজারে যায়।
সাথে সাথে সুমন বসা থেকে লাফ দিয়ে উঠে শাহীনের রান্নাঘরের জানালা দিয়ে নিচের দিকে ভালো করে কি জানি দেখলো।আবার সেখান থেকে ফিরে সামনের বারান্দার গ্রিলের নিচে সানসেট দেখে এসে বললো-এরে চু-----র পুত।গালের পর গাল যে হিডোর,ফেডি ফেডি আম বলে খাই হালাছ,কই আই তো তোর রান্দাঘর আর বারান্দার সামনের নিচে সানসেটে অউজ্ঞা আমের ছোলকা আর বড়াও হড়ি থাইকতে দেইকলাম না।হেতে আর বালের হুরুট(ফ্রুট) খায়।
ভয়ানক মারপিট হয়েছিলো।থামাতে বেশ পরিশ্রম হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন