সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭

আনারসের বিড়ম্বনা।

কয়টা আনারস আনছিলাম।এটা আমার অতীব প্রিয় ফল।কিন্তু ঘরের আর সবের বিষ।আমার আম্মা কিরণমালা দেখতেছিলো।খুবই গুরুত্বপুর্ন মুহুর্তে যখন কটকটি,কিরনমালা,ডঙ্কার এদের ভাগ্য নির্ধারন হচ্ছিলো তখন আনারস নিয়ে আমার প্রবেশ অত্যান্ত অনাহুত বলে বিবেচিত হলো।আম্মা হায় হায় করে জানালো, আর যে কয়দিন বাচার সম্ভাবনা ছিলো তাও আমি নিঃশেষ করে ফেলতেছি। এগুলা কে ছিলবে, ঘরদোড় পুরো নোংরাই ভরে যাবে।প্রত্যেকদিন আনারস খাবার কি আছে?
তো নিয়ম আছে,চায়ের কাপের থেকে পেয়ালা বেশী গরম।আমার স্ত্রী মুহুর্তে উদ্যোগটা নিয়ে নিলো।সে জানালো, আম্মা যেটা পছন্দ করে না,আমি দেখছি সেগুলো আপনি বেশী বেশী করেন।তারপর তার আর আম্মার ছি ছি সহ নিন্দা ক্রোধ শুনে মনে হলো আমি ঘরে নিকাহ করে ২য় পক্ষের স্ত্রী আনছি,আনারস না।
যেকোন অনাসৃষ্টি কে আমার আম্মা উনার গ্রামের বাড়ির যেকোন একটা লোকের উদাহরন দিয়ে শেষ করে।যেমনঃ আমার হাতে বই থাকলে বা পড়তে থাকলে আমার আম্মা জানায় উনাদের গ্রামের খুরশীদ ভাইচা এই বই আর গাজায় জীবনটা শেষ করে দিছে।আজকে জানালো, উনাদের গ্রামের মোল্লাবাড়ীর রুইত মিয়া এই আনারস আর সাপের পিছে দৌড়াতে দৌড়াতে শেষে সর্পাঘাতে মরেছে।হায়রে আমি কবে সাপের পিছনে দৌড়ালাম?
এইসব যখন চলতেছে তখন আমি নিজে নিজে আনারস কাটতেছি আর ভাবতেছি, আনারস এর গঠনটা কেনো এমন?আবার চোখগুলোও ফেলতে হয়। এতোসব করে খাওয়া আর সহ্য হয় না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্রাট আকবর ও মুসলমানী প্রসঙ্গ।

ইতিহাসের এইদিনে এই ভ্যালেন্টাইন ডে তে ১৪ ফেব্রুয়ারী,১৫৫৬ খ্রীঃ সম্রাট আকবর ১৪ বছর বয়সে দিল্লীর সিংহাসনে আসীন হন। ভ্যালেন্টাইন ডে তে সম্র...