শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৭

ফেসবুক থেকে। ২০১৫ জুলাই

১০২ বছরের বৃদ্ধা মাকে জানানো হয়েছে ,উনার ছোটছেলে ৫৫ বছরে স্ট্রোক করে ক্লিনিকে। উনি কানতে কানতে শেষ,খোদার অবিচারে। উনার কান্না থেকে যে বাক্য উদ্ধার করা গেছে ,তার সারমর্ম হলো- ইতের(ওর,ছোট ছেলের) আত-পা(হাত-পা) টিক(ঠিক) আছেনি কোন। অবুক এইল্লা(এরকম) গুরা ফোঁয়ার(ছোট ছেলে) কেনে এতর ডর অসুগ অইয়ে(এতো বড় রোগ হইছে)। তোঁরা আরে ন খস কিল্লাই( আমাকে কেনো আগে জানানো হলো না)।
এটাই মা।


রাতে একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলাম।দেখি কি, আমি কোরবানির আগে গরুর বাজারে গিয়ে একটা উট সস্তায় পেয়ে কিনে ফেললাম।বাসায় আনার পর সবচেয়ে বেশী ক্ষেপা ও ক্ষুদ্ধ হলো তারা(সাচ্চু,হাসান,রুবেইল্লা,দেলোয়ার) যারা আজ ২০ বছর ধরে আমার গরুর কোরবানীর মাংশ বানায়। সাচ্চু উট দেখেই বলে উঠলো,তুহিন ভাই ইডা কি ঠ্যাংগা আনলেন।ইডারে তো_ _ _ করলেও(খুব আপত্তিজনক) এক ফোডা লক্ত বাইর হইতো না। ৪টা ঠ্যাং আলাদা কইরা লাইলে এই বাসকোডা লইয়া আফনে কিরবাম। আমি এ পর্যায়ে মেজাজ হারা হয়ে তাকে গালাগালি করলাম। আর সেও তার দলবল নিয়ে-দুনিয়ায় ভাতের অভাব নাই বলে জয় বাংলা শ্লোগান দিতে দিতে চলে গেলো। খোলা মাঠে আমি একা ঐ ঠ্যাংগা উট নিয়ে।
তারপরই আমার ধরফরিয়ে ঘুম ভাঙ্গে।আমি আবিষ্কার করলাম,আমি ঐ ঠ্যাংগা উট কিনি নাই।আর আমি খোলা মাঠেও না। আমার ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে।



দেখছেন, গরীব দূর্বল প্রতিবেশী হওয়ার কি বিপদ!আমাদের ফেলানিরে গুলি করে কাটাতারে ঝুলিয়ে দেয়।আর শাহিদা/মুন্নীরে কাঁধে করে পাকিস্তান দিয়ে আসে।


এই একটা অদ্ভুত যুগ! এটম বোমা বানাইছে বলে আবুল কালামের মৃত্যুতে কানতে কানতে শেষ।কিন্তু নিজের দাদা নানার মৃত্যুতেও নাকি এতো কান্না আসে নাই।কারন আর কিছুই না, উনারা কিছুই বানাই নাই। উলটা শেষদিকে বিছানাবাসী হইয়া দীর্ঘদিন ল্যাদাইয়া লুদাইয়া ঘর শুদ্ধা লোকেরে ভীষম ভুগাইয়া গেছে।


গ্রীসের অবস্থা আমার মতোই হয়ে গেছে, আমি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম। এই মুহুর্তে আমার রিকশা চালিয়ে খাওয়া উচিতের উপর ২০০% উচিত। কিন্তু ভাই-ব্রাদার , শ্বশুরকুলের কথা চিন্তা করে কোনমতেই নামতে পারতেছি না। একমাত্র উপায় রাতে মুখে গামছা পেচিয়ে বা সান গ্লাস পড়ে রিকশা-সিএনজি চালানো। সেটাতেও পুলিস অর্থাৎ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রবল আপক্তি। আমারে মাইরালা!





ছোকরাকে জিজ্ঞেস করলাম,বল তুই কি দূঃখে বিড়ি খাস? সে উদাস দৃষ্টিতে ধুমা ছাড়তে ছাড়তে বললো, যেই মেয়েটাকে ভালবাসতাম সে আমার পাশের বাসায়ই থাকতো। একবার তাদের সাথে কোরবানী ভাগে দিছিলাম। তো গরু কাটার সময় সবাইকে সাহায্য করার জন্য প্লাস ঐ মেয়ের বাবাও কসাইয়ের সাথে শখ করে হাত লাগালো,ভাবলাম হবু শশুর তার জামাই সম্পর্কে একটা ভালো ধারনা পাক। কিন্তু কিভাবে যেনো হাত থেকে ফসকে গরুর ঠ্যাং মাটিতে আছাড় খায়। এই ভরা মজলিসে আব্বা নাদান বলার সাথে ফাউ হিসেবে একটা চটকানা দিয়ে দেয়। মেয়েটা অলরেডি জানালা দিয়ে থাকিয়েও ছিলো। গরুর সাথে প্রেমও কোরবানী হয়ে গেলো।

ভাবতেছি,মানুষ কতো দূঃখে না জানি বিড়ি খায়?



আনিসুল হক ও তার মোহাম্মদী গ্রুপ নিশ্চয় ভুলে যায়নি, বেগম খালেদা জিয়ার দুই টার্মে সে নিজে কতো কাজে ততকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলো। আজকে দেখি পত্রিকাতে তার সাথের সন্ত্রাসীগুলো একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীতে আক্রমন করে।এগুলো শামীম ওসমান,মায়া এদেরে মানায়। কিন্তু আনিসুল তুমি! আহারে ! আনিসুল! সঙ্গদোষে বঙ্গদোষ!দোয়া করি, শয়তানের চক্র থেকে মুক্তি পাও। তোমারো মোঙ্গল,আমাদেরও চেঙ্গিস খান!



কারো কিছু চোরে নিয়ে গেলে নোয়াখালির লোকেরা তাদের স্থানীয় ভাষায় বলে- চোরাইয়া হেতে্রে হোন মারি দিছে।ভাবতাম ,কি আশ্চর্য কথা! চুরি গেছে যাক।এতে কৌমার্য হারানোর কথা কেনো উঠে? এখন বুঝি, উঠে ,উঠার কথা বলেই উঠে। ধর্ষিতা যেমন সকলের সহানুভূতি পায়, কেউ কেউ তার থেকে জানতেও চায়- ঠিক কিভাবে ঘটনাটা ঘটলো? তেমনি সকলে চুরি যাওয়া লোকের কাছ থেকে জানতে চায়- চোর কিভাবে মারলো, না মানে কিভাবে জুতাটা নিলো?



কারো কিছু চোরে নিয়ে গেলে নোয়াখালির লোকেরা তাদের স্থানীয় ভাষায় বলে- চোরাইয়া হেতে্রে হোন মারি দিছে।ভাবতাম ,কি আশ্চর্য কথা! চুরি গেছে যাক।এতে কৌমার্য হারানোর কথা কেনো উঠে? এখন বুঝি, উঠে ,উঠার কথা বলেই উঠে। ধর্ষিতা যেমন সকলের সহানুভূতি পায়, কেউ কেউ তার থেকে জানতেও চায়- ঠিক কিভাবে ঘটনাটা ঘটলো? তেমনি সকলে চুরি যাওয়া লোকের কাছ থেকে জানতে চায়- চোর কিভাবে মারলো, না মানে কিভাবে জুতাটা নিলো?














কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্রাট আকবর ও মুসলমানী প্রসঙ্গ।

ইতিহাসের এইদিনে এই ভ্যালেন্টাইন ডে তে ১৪ ফেব্রুয়ারী,১৫৫৬ খ্রীঃ সম্রাট আকবর ১৪ বছর বয়সে দিল্লীর সিংহাসনে আসীন হন। ভ্যালেন্টাইন ডে তে সম্র...