শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

পর্দন।

পাদ নিয়ে কিছু লেখা অনেকটা ট্যাবুর পর্যায়ে পড়ে দেখা যায়।কেউ কিছু এ সম্পর্কে প্রায় লেখেই না।সন্মানহানীর ভয়ে।অথচ স্তন্যপায়ী সহ আরো অনেক প্রানি নিয়মিতই পাদে।আমি হাঙ্গরকেও পাদ দিতে ন্যাট জিওতে দেখেছি।মানুষের মতো এমনকি গরু,ছাগল আর হাতিরাও পাদে। হাতিরা বনের যে গভীর ছায়াঘন স্থানে দুপুরের নিদ্রা বা সিয়েস্তায় থাকে ,তার কাছাকাছি গেলেও অনেকটা দূর থেকে তাদের পেটের গুড় গুড়ানী শব্দ বা পাদের আওয়াজ পাওয়া যায়। অনেক সময় তাদের বড়দের তীব্র পর্দনের শব্দে শিশু হাতিরা ভয়ে কেপে উঠে।
আর আমাদের মধ্যে শিশুরাই নির্মল আনন্দে এটা নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করে।কিন্তু কখনো আমি কোন সুন্দরীকে এটা নিয়ে স্পষ্ট কিছু লিখতে বা বলতে শুনি নাই।ব্যতিক্রম দেখলাম, সুন্দরী নার্গিস ফখরী।গতকাল দেখলাম সে একটা বিলাসবহুল জাকুজি বাথটাবে স্নানরত অবস্থায় থেকে একটা ছবি টুইট করেছে।স্টাটাসে লিখেছে, অসাধারন ফিলিংস ! আর যাদের জাকুজি নাই তারা গরম পানি বাথটাবে দিন আর পেদে পানিতে বুঁদ বুঁদ সৃস্টি করুন।আমি তার সাহস আর সেন্স অভ হিউমারের প্রশংসা করি।বললাম তো, এমন আমি কখনো শুনি ও দেখি নাই।
আমি ছোট থাকতে মনে করতাম, পরী আর সুন্দরীরা কখনো পাদাপাদি করেই না।এটা আমাদের গরীবদের একটা একচেটিয়া ছোটলোকি ব্যাপার।কিন্তু বড়বেলায় জানলাম, বিজ্ঞানীরা বলেন, ফ্রিকোয়েন্টলি পাদা একটা স্বাস্থ্যকর ব্যাপার।উন্নত বিশ্বে কেউ জনসমক্ষে এটা দিয়ে ফেললে এক্সকিউজ মি বলে ক্ষমা চান।কিন্তু এই খেলা এই গাঙ্গেয় ব-দ্বীপে কেউ খেলে না।এখানে লুকিয়ে আলগোছে ছেড়ে দেয়া হয়।আর এক গ্রাম লোক এ ওকে সন্দেহের দৃস্টিতে দেখে।আর দাতা দূর থেকে নির্মল আনন্দ উপভোগ করে।
একবার অস্ট্রেলিয়ায় এক মহিলার ওপেন হার্ট সার্জারি হবে।কিন্তু সে মহিলা ছিলো তীব্র সুচিবায়ুগ্রস্থ।সে তার সার্জনদের অপারেশনের পুর্বে জিজ্ঞেস করে ,আমার এই অস্ত্রপ্রচার কতোটা সময় লাগতে পারে? ডাক্তাররা জানালো, ৪ থেকে ৫ ঘন্টা।
মহিলাঃ আমাকে যে ছুরি-চাক্কু দিয়ে অপারেশন করবেন সেগুলো নিশ্চয় স্টেরিলাইজ করা?
ডাক্তারঃ অবশ্যই ।মুসলমানি করার স্কালপেল যেখানে স্টেরিলাইজ করা সেখানে ওপেন হার্ট এর অস্রপাতি কিভাবে না করা থাকবে।উন্নত দেশ বিধায় এ জাতীয় প্রশ্ন সহ্য করা হলো। বাংলাদেশ হলে আপনাকে এখনি কানে ধরে বের করে দেয়া হতো।
মহিলাঃ কিন্তু আসল প্রশ্ন এখনো আপনাকে আমি করি নাই।ছুরি-চাক্কু স্টেরিলাইজ এটা আমি মেনে নিলাম যে,সেগুলো সম্পুর্ন জীবানুমুক্ত।কিন্তু আপনারা পাঁচ পাঁচটা লোক এই পাঁচ ঘন্টা যে না পেদে থাকবেন তার গ্যারান্টি কি?(ডাক্তাররা স্তম্বিত,আক্রমন এদিক দিয়ে আসবে স্বপ্নেও ভাবেন নি) আপনারাই তো পাদাপাদি করে সেই জীবানুমুক্ত ছুরি-চাক্কু পুরোপুরি ইনফেকশাস করে আমাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবেন।
আর সার্জনদের এটা সহ্য হলো না।উনারা তাকে দ্রুত অবচেতন করলেন,কারন আর ১০ মিনিট এই মহিলা কথা বললে উনারা তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলবার উপক্রম করতে পারেন।পরে কিন্তু সার্জনরা চিন্তা করলেন ,আসলে কি পাদাপাদির ফলে জীবানু নির্গত হয়ে স্টেরিলাইজ করা ছুরি চাক্কু সংক্রামিত করতে পারে?গবেষনা করা হলো, তাতে দেখা গেলো পাদে নির্দোষ মিথেন গ্যাস নির্গত হয়।আর ততোধিক নির্দোষ দইয়ের ল্যাক্টিভ ব্যাকটেরিয়া বাতাসে বের হয়।এটা মোটেই ক্ষতিকর নয়।কেবল ওই মিথেন গ্যাসের সংস্পর্শে কেউ ম্যাচ আর গ্যাসলাইট না জ্বালালেই হলো।
আরেকটি নির্দোষ কৌতুক বলে শেষ করছি, একবার আফ্রিকান এক প্রেসিডেন্ট ইংল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় সফরে গেলো।তো রানী এলিজাভেথ যাদের বেশী সন্মান দেন ,তাদের বিশাল শায়ার ঘোড়ার জুড়ী গাড়ীতে ঐতিহ্য মোতাবেক তিনি নিজে অতিথীকে নিয়ে বাকিং হাম প্যালেসে প্রবেশ করেন।অতিথী নিয়ে কিছু দূর যাওয়ার পর একটা শায়ার ঘোড়া সশব্দে পেদে দেয়।রানীর মুখ লজ্জায় লাল হয়ে যায়।তিনি ক্ষমা চেয়ে এক্সকিউজ মি বলেন।আর আফ্রিকান প্রেসিডেন্টও অভব্য নন।তিনিও অক্সফোর্ডে উচ্চশিক্ষিত।তিনি সহাস্যে জানালেন,এতে ক্ষমা চাওয়ার কিছুই নেই হার রয়াল হাইনেস।আমিও প্রায়ই দিই। মানুষ মাত্রেওই এটা দেয়,কেবল এঞ্জেলরা বাদে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্রাট আকবর ও মুসলমানী প্রসঙ্গ।

ইতিহাসের এইদিনে এই ভ্যালেন্টাইন ডে তে ১৪ ফেব্রুয়ারী,১৫৫৬ খ্রীঃ সম্রাট আকবর ১৪ বছর বয়সে দিল্লীর সিংহাসনে আসীন হন। ভ্যালেন্টাইন ডে তে সম্র...