সত্তর আশির দশকে আমাদের প্রবাসীরা দুবাই আবুধাবী(চট্টগ্রামের অনেকে আবুদুবাই বলতো) তথা মধ্যপ্রাচ্য থেকে আর কিছু না আনুক ,একটা টুইন ওয়ান আনতোই।একটু সম্পন্ন প্রবাসীরা আনতো ভিসিয়ার আর রঙ্গীন টিভি।তেমনি ব্রিটিশ আমলে আমাদের এই অঞ্চলের লোকেরা প্রবাসে তথা রেঙ্গুন গেলে প্রায় অবধারিতভাবে একটা বার্মাইয়া বৌ আনতো।কারন তখন টুইন ওয়ান,ভিসিয়ার ,টিভি এগুলা ছিলো না।এবং আমার ধারনা ,মধ্যযুগে এই জিনিসগুলা পর্যাপ্ত থাকলে তখনকার লোকেরা কিংবা আকবর বাদশাও এতোবড় হারেম মেইন্টেইন করতো না।
আমাদের এলাকার প্রবীন বশর কাকা যৌবনে রেঙ্গুন গিয়েছিলেন।উনি রেঙ্গুন সুন্দরীদের রিভিউ এখনো দিতে কম দেন না।উনার মতে ওদের সেবার তুলনায় তুলনীয় কিছু এই দুনিয়ায় নেই।উনি উনার স্ত্রীর সেবা যে ওদের তুলনায় কতো নিন্মমানের তা বলে উঠে শেষ করতে পারেন না।কথায় কথায় তর্ক করা, ঝাড়ু হাতে নিয়ে ফেলা এগুলা রেঙ্গুনের ওরা কোনদিন করে নাই।উনার আপসোস দেখে দুনিয়ার উপর যে কারো বিরাগ এসে যাবে।উনি বলেন,একবার উনার জ্বর হয়েছিলো প্রানঘাতী।দুই রেঙ্গুন সুন্দরী উনাকে যেই আদর যত্ন স্নেহে বাচিয়ে তুলেছিলেন,তার বর্ননা শুনলে বেহেস্তের বিবরনীও অনাকর্ষনীয় মনে হবে।
উনি সবশেষে রেঙ্গুন সুন্দরীদের সেবাকে দুই লাইনের কবিতা দিয়ে প্রকাশ করেছেন।রেঙ্গুন সুন্দরীদের সেবা নাকি যেই ক্লাসের তা হলো-
"ছাইয়া পিডা মধু দি" ( মানে চট্টগ্রামের ছাইয়া পিঠা মধু দিয়ে খেলে যেমন স্বর্গীয় স্বাদ তেমন)
আর চাচীর তথা বাঙ্গালী রমনীর সেবাকে কবিতার ভাষায় বলেছেন-
"পান্তা ভাত কদু দি " (মানে পান্তা ভাত কদু দিয়ে খেলে যেমন বিস্বাদ তেমন)
তাহলে কবিতাটা দাড়ালো-
ছাইয়া পিডা মধু দি,
পান্তা ভাত কদু দি।
পান্তা ভাত কদু দি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন