শ্চুকার যৌথখামারের ঘোড়া বিভাগের দায়িত্ব পেলো।ইয়াকভ লুকিচ তার এ দায়িত্ব প্রাপ্তিতে খুশী নন।জন্মের গপ্পিস শ্চুকার অবশ্য এতে খুবই খুশী ,সে জানালো ,এটা তার জন্য কিছু না,কারন ইয়াকভের মাথায় যতো চুল তারও অধিক ঘোড়া সে একজনমে পার করেছে।এতে করে বাকি সকলের মনে পড়ে গেলো শ্চুকার জীবনে মাত্র দুইবার ঘোড়ার কারবারী করেছে।প্রথমবারের টা একটা নিকৃষ্টমানের ঘোড়া , কিন্তু ২য়বারের ঘোড়ার কথা কেউ জীবনেও ভুলতে পারবে না।
শ্চুকার এই ঘোড়াটা কিনেছিলো জিপসিদের কাছ থেকে।যে জিপসি এটা বিক্রি করেছিলো সে জানিয়েছিলো ,এই মাদি ঘোড়া হতে পারে মাদি,কিন্তু দৌড়ালে দুনিয়া কেপে যায়।তুমি এটা পুরো দুনিয়া ঘুরেও কোথাও পাবে না।শ্চুকার জানালো, কিন্তু এটা তো দেখি রোম উসকো খুসকো ওলা,দাত প্রায় নেই বললেই চলে, আর খুরগুলোও ভাঙ্গা।
জিপসি জানালো,দেখো শ্চুকার ওর দাত দিয়ে তোমার কি সমস্যা বলো তো, বরং দাত না থাকলেই তো খাবে কম।বলতে গেলে এটা একেবারেই বাচ্চা(জিপসি ৪০ বছর একে চালিয়েছে), কি এক অজানা অসুখে যে এটার দাতগুলো পড়ে গেলো!আর একটা চোখ যদি নস্ট হয়েই থাকে তাতে কিইবা আসে যায়।তাছাড়া নস্ট বলাটা ঠিক না, এই একটা চোখে কি সাদা পর্দা হয়ে ফুলে উঠেছে।আর খুরের কথা বলছো,ও ঠিক নতুনের মতো করে ঠিক হয়ে যাবে।হ্যা ,হতে পারে চোখের দেখায় ওকে রুপসী বলা চলে না।তার দরকারটাই বা কি, তুমি তো ওকে নিয়ে বিছানায় শুতে যাচ্ছো না, নাকি যাচ্ছো?
-কুমারী মাটির ঘুম ভাংলো( মিখাইল শোলোকভ)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন