বন্ধুর মোবাইলের শো-রুমে বসে আছি সন্ধ্যায়।একজন ঘর্মাক্ত পরিশ্রান্ত মধ্যবয়সী লোক এসে ঢুকলো।মুখে পরিতৃপ্তির হাসি।জানালো,৬-৭ হাজারের মধ্যে কোন ভালো মোবাইল আছে কি?উনার ছেলে আজকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে।উনি ছেলেকে বলেছিলেন,রেজাল্ট হলে একটি মোবাইল দেবেন।দোকান থেকেই ছেলেকে জানালেন,এইখানে আসো আমি আছি।
মধ্যবিত্ত বাবার চেহারা দেখলে বোঝা যায়,উনার প্রতিটা পয়সা গায়ের রক্ত ঘামে পরিনত করার মুল্য।ছেলেটা আসলো।আজকালকার ছেলেরা বাবার পরিশ্রমের মুল্য কিভাবে দেয় সেটা দেখার আগ্রহে বসে লক্ষ্য করতেছিলাম।
ছেলে আসলো,বাবা তাকে ৮-১২ হাজার রেঞ্জের অনেক সেট দেখালো।আর ছেলে কি করলো?
না ভাই, সে অতি বিবেচক একটা চমৎকার ছেলে।এতো মোবাইলের ভীড়ে সে ৩৬০০টাকা মুল্যের একটা সিম্পনি সেট নিলো।সে জানে তার বাবা কতো পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করে।আমার চোখে দিয়ে পানি এসে গেছিলো,তার বাবার প্রতি ভালোবাসা দেখে।সত্যি বলছি ,এরাই একদিন এই দেশ বদলে দেবে।বাবা মায়ের ইচ্ছা পুরন করবে।
আমার আব্বার কথা মনে এসে গেছিলো।আব্বা সকালে অফিসে চলে যেতো।দুপুরে অফিসে প্রায় কিছুই খেতো না।সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরেই পুর্ন তৃপ্তির সাথে ভাত খেতো।দুপুরে খেলে যে অনেকগুলা টাকা খরচ হয়ে যেতো।আব্বাকে কোনদিন মুখে বলতে পারি নাই যে,উনাকে কতো ভালোবাসি,কতো ভালোবাসতাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন