আজকের এই সোশাল মিডিয়ার প্রবল জোয়ারের সময়ও চীন পশ্চিমা সোশাল মিডিয়া ও গুগল থেকে নিজেদের সচেতনে দূরে রেখেছে।চীন কিভাবে তার একটা বিশাল জনগনকে এই বৈষ্ণিক জোয়ার থেকে দূরে রাখতে পারলো?তারা কি এর বিকল্প কিছু তাদের নাগরিকদের দিয়েছে? যারা পৃথিবীর স্মার্টফোন ইউজারদের মধ্যে একটা সবচেয়ে অগ্রগামী অংশ ,সংখ্যাগরিষ্টও বটে।
উত্তর হলো, হ্যা। তারা চমৎকার বিকল্প বের করেছে।যা চাইনিজ ভাষায় তাদের জন্য বিকল্প একটা পৃথিবী তৈরী করে নিয়েছে।সেটা যথেষ্টই অসাধারন! এবং সবরকম ইন্টারনেটভিত্তিক আদান-প্রদান,চ্যাট-মেসেজিং আর স্বয়ংসম্পুর্ন সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে সমৃদ্ধ।
চীনে গুগল সার্চ সহ গুগলের অনেক সার্ভিস বন্ধ।তাই তাদের আছে বাইদু সার্চ ইঞ্জিন।চাইনিজ বা ম্যান্ডারিন ভাষায় সবচেয়ে প্রভাবশালী সার্চ ইঞ্জিন।বাইদু অপারেটিং সফটওয়্যারও আছে।
গুগলের অত্যান্ত জনপ্রিয় ইউটিউব এর বিকল্প আছে চীনে ইউকিও।বেশ জনপ্রিয়।আরো কয়েকটি আছে।যেমন সহু টিভি। আমি শুধু যেগুলো বেশী জনপ্রিয় সেগুলোর নাম বলছি।
গুগলের অত্যান্ত জনপ্রিয় ইউটিউব এর বিকল্প আছে চীনে ইউকিও।বেশ জনপ্রিয়।আরো কয়েকটি আছে।যেমন সহু টিভি। আমি শুধু যেগুলো বেশী জনপ্রিয় সেগুলোর নাম বলছি।
হোয়াটস আপ এর বিকল্প আছে উইচ্যাট।
ইন্টারনেট দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ফেসবুক ২০০৯ সালে জিনজিয়াং এর দাঙ্গা ভাইরাল করার অপরাধে চীন বন্ধ করে দিয়েছে।এর বিকল্প হিসেবে তারা চালায় রেন রেন নামে একটা সোশাল এপ্স।আরো আছে।জুকারবার্গ আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছে ফেসবুক চীনে খুলে দেয়ার জন্য।ফেসবুকের যেই চরিত্র আর চীনের যে চরিত্র দুই দেখেই আপাত এটুকু বলা যায়, ফেসবুক চীনে সহসা খোলার কোন সম্ভাবনা নাই।
চীনে মাইক্রো ব্লগিং টুইটার নাই।তাদের আছে অত্যান্ত জনপ্রিয় সিনা উইবো।এটা বেজায় জনপ্রিয়।আরো আছে জুওসা আর দিগু।এগুলাও জনপ্রিয়।
নিয়ম অনুযায়ী চীনে তাই জি মেইলও নাই।তাদের আছে কিউ কিউ মেইল।
চাইনিজ টিভি আর মিউজিক এপ্স আছে, কিউ কিউ মিউজিক আর সিয়ামি ।
চাইনিজ শপিং এপ্স হিসেবে আলীবাবাকে আপনারা অলরেডি চেনেন।আরো আছে টাওবাও, জিং ডং,দিয়ান পিং।
চাইনিজ শপিং এপ্স হিসেবে আলীবাবাকে আপনারা অলরেডি চেনেন।আরো আছে টাওবাও, জিং ডং,দিয়ান পিং।
আর এমনিতে ভিপিএন এর মতো প্রক্সি কিছু তো সবসময় আছে।যাতে তারা তাদের মনের খোরাক মিটাতে পারে।
উপরের কথাগুলো কেনো বললাম বুঝলেন তো, কারা পশ্চিমাদের সাহায্য ছাড়াও দিব্যি অনায়াসে চলতে পারবে এটা চাইনিজদের দেখলেই বোঝা যায়।এই গুগল,ফেসবুক সহ আরো অনেক জিনিস তারা এক্সেস করতে না দিয়েও আজকের পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক পরাশক্তি।পুরো বিশ্বের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ম্যানুফেকচারারও তারা।কেউ তাদের দাবিয়ে রাখতে পারছে না।তাই তাদের সাথে ব্যবসা করার লোভও ছাড়া সম্ভব না।কারো বা কোন গোঁয়ার গর্দভের উচিত না তাদের সর্বক্ষন শত্রু ভাবা।সেই যোগ্যতাও গর্দভগুলোর নাই।চীন তার শত্রুদের ইয়েতে আস্তে করে গজাল বা কীলকটা ভরে দেয়।অনেকদিন পর ফাঁটলটা একেবারে আগাপাশ চিরে পরিলক্ষিত হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন