বঙ্গদেশের শেয়ার বাজারের প্রতি আর যুবসমাজের বিনিয়োগের প্রতি সালমান এফ রহমান আর আওয়ামি লিগের একটা সাতরঙ্গা ভালোবাসা সবসময় পরিলক্ষিত হয়।শেয়ার বাজার লুটার শয়তানী বুদ্ধির ডিমগুলা শয়তান প্রথমে পাড়ে সালমানের মাথায়,যখন ডিমটার অবস্থা এবাউট টু ফাটো ফাটো, তখনই সে এই বাকি কিছু ডিম, লুটা পরবর্তীতে সামাল দিবে যারা তাদের মাথায় চালান করে দেয়।এরা ভাগিদার ও পরবর্তী বেসামাল অবস্থা সামাল দেয়।লুটার টাইমিং দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন,কতো হিসেব করে এরা মাথায় বাড়িটা দিছে।
এই লুটা আওয়ামী লিগ করে ক্ষমতায় এসে একেবারে গরম গরম টাইমে।কখনো পরবর্তী আরেকটা নির্বাচন আসন্ন এমন টাইমে না।যেমনঃ ১৯৯৬ ও ২০১০ সাল,খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন।নির্বাচন আসার আগে এসব করে তারা ঝামেলা পোহাতে চায় না।মানে তখনকার সময়ে আর কি!এখন তো আর এসবের বালাই নাই।ভারতমাতা তাদের এসব থেকে রক্ষা করেছে।গরম গরম টাইমে লুটার মজা হলো, বেশকিছু প্রতারিত নাগরিক ইত্যবসরে আত্মহত্যা করে নিজেরাও বাচে,ডাকাতকেও নিশ্চিন্ত করে যায়।বাকিরা কয়দিন হাওকাও করে,তারপর মহান আল্লাহ পাকের দরবারে হাসরের ময়দানে খেলাপি ঋন আদায় হবে এই আশায় রনে ভংগ দেয়।আরো যারা বাকি আছে,তারা ব্যাপারটা চেপে যায় কারন বিয়েশাদির বাজারে এটা তাদের ক্ষতিগ্রস্থ করার বাস্তব কারন বলে পরিগনিত হয়।আগে পাড়া-প্রতিবেশীর কান-কথা, বরের পুরুষত্যহীনতার গুজব, চরিত্র-দূর্বলতার গুজব এসব বিয়ে ভাঙ্গানিতে ব্যবহার হতো।৯৬ আর ২০১০ সালের পর শেয়ার বাজারে ধরা খাইছে হবু বর এটাও বিয়ে ভাঙ্গানির অন্যতম অনুষঙ্গ বলে পরিগনিত হয়।
কনের বাপদের দোষ দেয়া যায় না।দুই দুইবার পাটের মতো সাদা দাড়িওলা একলোক আংতা জাল দিয়ে খেপ পাতলো আর জুয়ান বয়সী পোলাপাইন গিয়ে ধরা দিলো এটা বরদের জন্য অমার্জনীয় অপরাধ বলে গন্য করা হয়।এর সাথে আর কে জড়িত কারা জড়িত এসব জেনে কনের বাপের লাভ নাই।
৯৬ সালের শেয়ার বাজারের কথা মনে এলো।আজকে অনেকে বিশ্বাস যাবে না, সেবার শেয়ার বাজারে শেয়ারের পেপার খোলাবাজারে বা কাব মার্কেটে রাস্তায় বিক্রি হতো জামা-কাপড়ের মতো।সবাই রাস্তায় ডাকাডাকি হাকাহাকি করে এসব বিক্রি করতো।ফলে প্রচুর জাল শেয়ার বাজারে নামে।আর নামে প্রতারকের দল।পাবলিক খালি কাগজ কিনতো শেয়ারের নগদ টাকা দিয়ে।যারা যারা এ ব্যবসায় নেমেছিলো পড়াশোনা,অন্যান্য ব্যবসা বাদ দিয়ে ,তারা দুপুরে এমনকি রাতেও প্রায় সময় ঘরে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলো।ঘরের খাওয়া দাওয়া মুখে রুচছিলো না।দুইবেলায়ই বিরানী চালু হয়ে গিয়েছিলো।দুইবেলা বিরানী খাওয়া যে মৃত্যুর নিশানা তা আর কারো খেয়ালে আসছিলো না।কিন্তু মৃত্যু ধীর ধীর পায়ে করে শুরু করে একেবারে হঠ করে এসে আঘাত করে।শেয়ার বাজার ধসে যায়।সবার হাতে শেয়ারের কাগজ কিন্তু ক্রেতা আর নাই।দরবেশের রুপ ধরে এরা শেয়ার বাজারে সবার আগে ঢুকে আর কাম সেরে সবার আগেই মেভেলেভি দরবেশের মতো নৃত্য করে বেড়িয়ে যায়।পিছনে রেখে যায় বালাদুল আমিনদের।
আর বঙ্গদেশের লোকেরা তারা আর কি করে!এই জাত বীরের জাত,যেখানে সব একসাথে ঝাপিয়ে পড়ে ,হয় তা একেবারে স্বাধীন হয়ে পড়ে,নয়তো শেয়ার বাজারের মতো পুড়ে তামা তামা আংরা হয়ে পড়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন