বুনো খুনিয়া হাতি(রৌগ এলিফেন্ট) বা মানুষখেকো বাঘ যখন খুব বেশী নরহত্যা করে ফেলে তখন সংশ্লিষ্ট বনবিভাগের বিভাগীয় প্রধান বা বিভাগীয় কমিশনার উক্ত চিহ্নিত প্রানীটিকে মৃত্যুদন্ড দেন।সেক্ষেত্রে পেশাদার শিকারীদের প্রতি পরিষ্কার সনাক্তকরন চিহ্ন দিয়ে সতর্ক করে দেয়া হয় তারা যেনো পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে প্রানীটিকে হত্যা করে।কেননা ভুল করে অন্য হাতি বা বাঘ যাতে মারা না যায়।তেমনি রণতরীকেও যুদ্ধে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।যাদের পাঠানো হয় তাদের জানিয়ে দেয়া হয় কর্তব্য পালন না করে তারা যেনো ফিরে না আসেন।
ব্রিটিস রয়্যাল নেভির এইচ এম এস হুড আর প্রিন্স অভ ওয়েলস টিমের মধ্যে মেসি আর রোনাল্ডোর মতো পারফরমেন্সের অধিকারী ছিলো।তারা ১৯৪১ সালের শুরুতে ডেনমার্ক প্রনালী,ডগার্স ব্যাংক ইত্যাদি রক্ষা করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছিলো।বিসমার্ক তার সহযোগিদের নিয়ে এইচ এম এস হুডকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয় আর গুরুতর ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে প্রিন্স অভ ওয়েলস কোনমতে ইংল্যান্ড ফেরে ।কিন্তু তার সক্ষমতা নষ্ট হয়ে পড়ে।চার্চিলকে মধ্যরাতে এই দূঃসংবাদ জানানো হয়।চার্চিল এই দুই ব্যাটলশীপের পরিনতি শুনে ক্ষোভে,শোকে বিহবল হয়ে পড়েন।রাত্রেই এডমিরাল্টি বিসমার্কের ব্যাপারে বসে।চার্চিল শুধু আদেশটিতে একটি কথাই লিখে “ সিংক দ্য বিসমার্ক”।একডজন ডেস্ট্রয়ার আর ক্রুজার বেরিয়ে পড়ে বিসমার্কের খোজে।দুই সপ্তাহ পর ২৭ মে,১৯৪১ এ উত্তর আটলান্টিকে এরা বিসমার্ককে পেয়ে যায়।আক্ষরিক অর্থেই বিসমার্ক বাঘে-মহিষের মতো লড়ে।ব্রিটিস রয়াল নেভির এই ফুটবল টিমকে বিসমার্ক একাই তছনছ করে দেয়,নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে।কিন্তু কাছাকাছি এসে যায় রয়াল নেভির এইচ এম এস আর্ক রয়াল নামক এয়ারক্রাফট কেরিয়ার শীপ।এটার সবগুলো বোম্বার্ডিয়ার ফাইটার প্লেনগুলো বিসমার্কের উপর একযোগে আক্রমন করাতে বিসমার্ক আর টিকতে পারলো না। ২৭ মে ,১৯৪১ সাল ,বিসমার্কের অধিনায়ক তার রণতরীকে নিজেই ডুবিয়ে দেন।কারন এটা আর এমনিতেও হামবুর্গ ফিরতে পারবে না।কমিশন পাওয়ার মাত্র ৯ মাস পর বিসমার্কের সলীল সমাধি ঘটে।
জার্মান জনগন বিসমার্ককে হারিয়ে সেই শোক পান যেই শোক পেয়েছিলো ট্রয় নগরী হেক্টরকে হারিয়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন