মুলা মোটেও কোন হাস্যকর ,সস্তা সব্জী নয়।যদিও মুলা রান্না করা বা খাওয়া লোককে নিয়ে বংগদেশে ঠাট্টা-তামাশা করার একটা প্রচলন আছে।বিজ্ঞানীরা বলেন, মুলাতে আছে প্রচুর পরিমানে সালফার ,ম্যাগনেশিয়ামের খনিজ লবন।এই উচু মাত্রার সালফার থাকাতে মুলা খেলে প্রচুর পাদ আসে।এটাই ব্যক্তিকে হাস্যস্পদ করে তুলে।চায়নিজরা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী পরিমানে মুলা খাওয়া জাতি।মুলার স্যুপ থেকে শুরু করে কাঁচা-মুলা তাদের অতীব প্রিয় একটা সব্জী।এমনকি হর্স রেডিস নামক মুলা জাতীয় সব্জী থেকে যে পেস্ট বা সস বানানো হয় ,সেটাই হলো পৃথিবী-খ্যাত ওয়াসাবি ।এর ফ্লেভার ,সস ,পেস্ট সবই জনপ্রিয়।জাপানীরা ওয়াসাবির ভীষন ভক্ত বলে খ্যাত হলেও পৃথিবীর অন্যত্রও এটি এখন ভোজনরসিকদের প্রিয়।
তাই যে কথায় ছিলাম সেটাই আসি।বিজ্ঞানীরা বলেন, বেশী করে মুলো খান, এবং ফ্রিকোয়েন্টলি পাঁদুন।তারা বলেন,দৈনিক ২০-২৫ টা পাঁদ দেয়া কোন দোষের কিছু না।গড়পড়তায় একজন স্বাস্থ্যবান লোক তাই দিয়ে থাকে।সেটা আমি কিংবা ঐশ্বরিয়া,ক্যাটরিনা,ইয়াম্মি গৌতম সবাই, সবাই দিয়ে থাকে।এটা ভেবে আপনি হীনমন্যতা কাটাতে পারেন যে তারাও এটা করে।
এখন প্রশ্ন হলো, কেউ যদি দৈনিক ৩০ টার বেশী, ধরেন ২০০ টা দেয় তাতে কি হতে পারে? না, এই একটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা বলেন, ২০০টা দিলেও তাতে কোন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায় না।আফটার অল এই পৃথিবীতে গত শতকে এশিয়া ও সাব সাহারান দেশগুলোতে প্রচুর মানুষ হাগতে হাগতে মারা গেছে কলেরায়,কানতে কানতে বা হাসতে হাসতে মারা যাওয়ার রেকর্ডও ইতিহাসে আছে।কিন্তু পাঁদতে পাঁদতে মারা যাওয়ার কোন রেকর্ড এ যাবত নেই।
বিজ্ঞানীরা গবেষনায় দেখেছেন,যেসব দম্পতি দাম্পত্যজীবনে নির্দ্বিধায় একে অপরের সামনে পাদ দিতে পারে এবং চরম নির্লিপ্ততায় তা সহ্য করতে পারেন, তারা অত্যান্ত সুখী দম্পতি।আর যেসব দম্পতি পাদের গন্ধের দোষ নিয়ে ঝগড়া-ঝাটি করে ,তাদের মধ্যে ডিভোর্স বা বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা অত্যান্ত চরম মাত্রায় বিদ্যমান আছে।কারন বিজ্ঞানীরা গবেষনায় দেখেছেন, এই পাদের দোষ দিয়েই এই সংসার নামক দূর্গের দেয়ালে ফাটল শুরু হয়,এরপরই এ ওর চারিত্রিক আরো দোষ খুচিয়ে বের করে।সেটাই বিচ্ছেদের ঝুঁড়িওয়ালা বটগাছে পরিণত হয়।তাই সামান্য পাদের গন্ধ নিয়ে অনুযোগ করা ছোট-খাটো ব্যাপার নয়।
কোথা থেকে কোথায় চলে এলাম।শেষ কথা হলো, মুলা অত্যান্ত উপকারী একটা সব্জী।কোন হেলাফেলার জিনিস নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন