দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত জার্মানদের অহংকার ব্যাটলশীপ বিসমার্কের গতি ছিলো ৩০ নটিক্যাল মাইল।আর আমাদের গর্বের সাবমেরিনগুলোর গতি ২০১৭ সাল এর সাথে মিল রেখে ১৭ নটিক্যাল মাইল(পত্রিকায় যা জেনেছি সে অনুযায়ী)।যাক,ব্যাপার না। ১৯৪০ সালের এপ্রিল থেকে ব্রিটিস রয়াল নেভির সাথে জার্মান নেভি ক্রিগসমেরিনের লড়াই শুরু হয়।মুলত মহাসাগরগুলোর দখলের লড়াই।ক্রিগসমেরিন এর লক্ষ্য ছিলো,কলোনিয়েল শীপ গুলোর সাথে ব্রিটিসদের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া।
এই দুই বাহিনীর প্রথম লড়াই বাধে উরুগুয়ের কাছে রিভারপ্লেটের যুদ্ধে।যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় জার্মান ব্যাটলশিপ এডমিরাল গ্রাফ স্পী দক্ষিন আটলান্টিকে ছিলো।ফলে চার্চিল এইচ এম এস এক্সিটার,এজাক্স আর একিলিস এই এইচ ক্লাস ব্যাটলশীপগুলোকে নির্দেশ দেয় গ্রাফ স্পীকে ধরার জন্য।ব্রিটিসরা সাগর পরিবেষ্টিত দ্বীপ রাস্ট্র,তাই স্মরনাতীত কাল থেকে তারা তাদের নৌবাহিনির জন্য তার সক্ষমতার জন্য গর্বিত।কিন্তু তারা যদি কাউকে সমীহ করতো সেটা আমেরিকা নয়।সেটা হলো ক্রিগসমেরিন।ব্রিটিসরা শেয়ানা জাতি।দক্ষিন আটলান্টিকের ফকল্যান্ড দ্বীপের ব্রিটিস ফ্লোটিলার ক্যাপ্টেন আন্দাজ করে ফেললো গ্রাফ স্পী একা লড়ে তাদের সাথে সুবিধা করতে পারবে না।সে কোনমতেই তাদের সাথে লড়ার পর আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে জার্মানীর হামবুর্গ গিয়ে উঠতে পারবে না।তাই তাদের সাথে লড়াইয়ের পর সে উরুগুয়ের মতো নিরপেক্ষ কোন দেশের বন্দরে গিয়ে উঠতে পারে।অতএব উরুগুয়ের কাছাকাছি গ্রাফ স্পীকে পাওয়া যেতে পারে।গ্রাফ স্পীর ক্যাপ্টেন হান্স ল্যাংডর্ফ চিন্তা করেছিলো,রয়্যাল মেরিনের সাথে দেখা হওয়ার পর যেভাবেই হোক গিয়ে মন্টিভিডিও হারবারে ঢুকতে পারলে আর ব্রিটিসরা নিরপেক্ষ উরুগুয়ের জলসীমা লংঘন করতে পারবে না।মন্টিভিডিও হারবারের কাছে লা প্লাটা নদীর মোহনায় গ্রাফ স্পী তার সক্ষমতাকে কিংবদন্তীর পর্যায়ে নিয়ে যায়।সে নিজে মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ার আগে এইচ এম এস এক্সিটারকে সম্পুর্ন ধ্বংস করে দেয়।আর তার সাথে এইচ এম এস এজাক্স আর একিলিসকে দীর্ঘমেয়াদি অচল করে দেয়।
এই দুই বাহিনীর প্রথম লড়াই বাধে উরুগুয়ের কাছে রিভারপ্লেটের যুদ্ধে।যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় জার্মান ব্যাটলশিপ এডমিরাল গ্রাফ স্পী দক্ষিন আটলান্টিকে ছিলো।ফলে চার্চিল এইচ এম এস এক্সিটার,এজাক্স আর একিলিস এই এইচ ক্লাস ব্যাটলশীপগুলোকে নির্দেশ দেয় গ্রাফ স্পীকে ধরার জন্য।ব্রিটিসরা সাগর পরিবেষ্টিত দ্বীপ রাস্ট্র,তাই স্মরনাতীত কাল থেকে তারা তাদের নৌবাহিনির জন্য তার সক্ষমতার জন্য গর্বিত।কিন্তু তারা যদি কাউকে সমীহ করতো সেটা আমেরিকা নয়।সেটা হলো ক্রিগসমেরিন।ব্রিটিসরা শেয়ানা জাতি।দক্ষিন আটলান্টিকের ফকল্যান্ড দ্বীপের ব্রিটিস ফ্লোটিলার ক্যাপ্টেন আন্দাজ করে ফেললো গ্রাফ স্পী একা লড়ে তাদের সাথে সুবিধা করতে পারবে না।সে কোনমতেই তাদের সাথে লড়ার পর আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে জার্মানীর হামবুর্গ গিয়ে উঠতে পারবে না।তাই তাদের সাথে লড়াইয়ের পর সে উরুগুয়ের মতো নিরপেক্ষ কোন দেশের বন্দরে গিয়ে উঠতে পারে।অতএব উরুগুয়ের কাছাকাছি গ্রাফ স্পীকে পাওয়া যেতে পারে।গ্রাফ স্পীর ক্যাপ্টেন হান্স ল্যাংডর্ফ চিন্তা করেছিলো,রয়্যাল মেরিনের সাথে দেখা হওয়ার পর যেভাবেই হোক গিয়ে মন্টিভিডিও হারবারে ঢুকতে পারলে আর ব্রিটিসরা নিরপেক্ষ উরুগুয়ের জলসীমা লংঘন করতে পারবে না।মন্টিভিডিও হারবারের কাছে লা প্লাটা নদীর মোহনায় গ্রাফ স্পী তার সক্ষমতাকে কিংবদন্তীর পর্যায়ে নিয়ে যায়।সে নিজে মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ার আগে এইচ এম এস এক্সিটারকে সম্পুর্ন ধ্বংস করে দেয়।আর তার সাথে এইচ এম এস এজাক্স আর একিলিসকে দীর্ঘমেয়াদি অচল করে দেয়।
ভীষন আহত ক্যাপ্টেন আর গ্রাফ স্পী মন্টিভিডিও হারবারের কাছে আসে।আহত বাকি সৈনিকদের উরুগুয়ের হাতে তুলে দেয়।আর কোন ক্যাপ্টেন তার জাহাজ শত্রুর হাতে জীবিত অবস্থায় তুলে দেয় না।তাই সবার অনুরোধ স্বত্তেও ক্যাপ্টেন গ্রাফ স্পীকে নিয়ে নিজে বিষ্ফোরন ঘটিয়ে জাহাজ ডুবিয়ে দেয়,নিজের জীবনও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন